নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

সিলেটে খেলাফত মজলিসের সমাবেশে বক্তারা

নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

প্রথম নিউজ, সিলেট: খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। যখন যারা ক্ষমতায় ছিল, এদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সম্ভব সবরকম চেষ্টা করেছে। গতকাল বিকালে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিসহ ৮ দফা দাবিতে নগরীর রেজেস্ট্রারি মাঠে অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিস সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ সরকারের প্রথম দায়িত্ব হবে, সকলপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজানো এবং জনপ্রশাসনকে নিরপেক্ষ অবস্থানে নিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বলে গণ্য হবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মজদুদ্দিন আহমদ বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই গণতন্ত্র আজ কোথায়।

গণতন্ত্রে ভোটের আগের রাতে ভোটবাক্স ভর্তির কোনো কথা আছে? বিনা ভোটে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচন কোন তন্ত্রে আছে?  সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনতাসির আলী বলেন, সিলেট বিভাগের ঘরে ঘরে খেলাফতের দুর্গ গড়ে তুলুন। জনগণের ন্যায্য দাবি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জনগণকে সংগঠিত করুন। তিনি সরকারের উদ্দেশে খেলাফত মজলিসের ৮ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের সভা সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতির বিষয়টি আমাদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করার শামিল। সুতারাং সভা সমাবেশ করার অবাধ সুযোগ নিশ্চিত করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এবিএম সিরাজুল মামুন বলেন,  দেশের বর্তমান সংকটের প্রেক্ষিতে খেলাফত মজলিসের ৮ দফা এ জাতির মুক্তির দফা। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, দলের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শায়খ মজদুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব  এবিএম সিরাজুল মামুন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা শামসুজ্জামান চৌধুরী, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব এডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য হাফেজ মাওলানা নূরুজ্জামান, সৈয়দ মুহিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী ও শ্রমিক মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল করীম। 

সিলেট জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা মুখলিছুর রহমান, মহানগর সহ-সভাপতি কেএম মামুন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দিলওয়ার হোসাইন ও মহানগর সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা জাবেদুল ইসলাম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, সিলেট জেলা সভাপতি মাওলানা নেহাল আহমদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন মোহন, সিলেট মহানগর সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম হাসান, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা হুসাইন নূরী চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ছদরুল আমীন, মৌলভীবাজার জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, সৌদি আরব আবহা শাখার সভাপতি শায়খ মাওলানা আবদুল হান্নান, যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হাসান ছাবির, রিয়াদ মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা আবুল হোসাইন, কাতার শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুল হাসিব চৌধুরী, সিলেট মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা শাহ আশিকুর রহমান, মাওলানা কারী সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন মুহাম্মদ ইলিয়াস, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ আলী আসগর, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আখতার হোসেন, রিয়াদ মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল হোসাইন, জেদ্দা মহানগর শাখার উপদেষ্টা মাওলানা হাবীবুর রহমান রাজাগঞ্জী, সেক্রেটারি মাওলানা শামসুজ্জামান গণী, সিলেট সদর হাটখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা কেএম রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস শাবিপ্রবি সভাপতি জাকারিয়া হুসাইন জাকির, সিলেট মহানগর সভাপতি লিটন আহমদ জুম্মান, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি রুহুল আমীন, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি ইমদাদুল হক ইমরান, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি শাহ কামাল সাজু, মৌলভীবাজার জেলা সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও মৌলভীবাজার শহর সভাপতি আশরাফ উদ্দিন শাফি প্রমুখ।