অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার উপায় জেনে নিন

অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়মিত করার উপায় জেনে নিন

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পিরিয়ড মিস করা, বিলম্বিত বা অনিয়মিত পিরিয়ড বা অস্বাভাবিক রক্তপাতকে অনিয়মিত পিরিয়ড হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। অনিয়মিত মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন- পারিবারিক ইতিহাস, মেনোপজ, শারীরিক চাপ, মানসিক চাপ, ধূমপান বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। হরমোন এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক মনপ্রীত কালরা তার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কার্যকরী চায়ের রেসিপি শেয়ার করেছেন। এছাড়াও, তিনি মাসিক চক্রের উন্নতির জন্য জীবনযাপন এবং খাদ্যতালিকা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন।

অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য চা তৈরিতে যে ৫ উপাদান প্রয়োজন

১. মেথি: ফাইটোস্ট্রোজেন রয়েছে যা হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

২. জিরা: পিরিয়ড প্রবাহকে উদ্দীপিত করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. জাফরান: মাসিকের ক্র্যাম্প এবং অস্বস্তি কমায়।

৪. ধনিয়া : পেটের সমস্যা দূর করে।

৪. গুড়: নিয়মিত পিরিয়ড বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কীভাবে চা তৈরি করবেন

এই চা তৈরির ধাপগুলো বেশ সহজ। একটি প্যান নিন এবং ২-৩ স্ট্র্যান্ড জাফরান, ১ চামচ মেথি, ১ চামচ ধনিয়া, ১ চামচ জিরা এবং ২০০ মিলি পানি যোগ করুন। যতক্ষণ না মিশ্রনটি অর্ধেক হয়ে যায় ততক্ষণ সেদ্ধ করুন। এরপর এতে ১ চা চামচ গুড় যোগ করুন। আপনার সুপার চা প্রস্তুত। এবার চুমুক দিন।

পিরিয়ড নিয়মিত করার জন্য আরও ডায়েট এবং লাইফস্টাইল টিপস:

১. তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠুন

সূর্যের আলোর সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠুন কারণ এটি আপনার কর্টিসলের মাত্রা ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

২. পিরিয়ড হেলথ ড্রিংক

আপনার পিরিয়ডের তারিখের ২-৩ দিন আগে চা পান করুন। এটিকে ‘মালাসানা’ ভঙ্গিতে পান করুন (পা একসঙ্গে এবং পিঠটি গোলাকার করে স্কোয়াটিং পোজ)। খুব ভোরে পান করতে হবে।

৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

প্রোটিন জাতীয় খাবার খান। কারণ এটি আপনার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে।

৪. ওয়ার্কআউট

মাসিক প্রবাহ উন্নত করতে প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ বার এনার্জি এক্সারসাইজ এবং প্রতি সপ্তাহে ২-৩ বার কার্ডিও করুন।

৪. স্বাস্থ্যকর খাবার

প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পরিশোধিত চিনি এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলো আপনার হরমোনকে ব্যাহত করতে পারে। এর বদলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন।

৬. খাবারের সময়

রাতের খাবার এবং সকালের খাবারের মধ্যে ১২-১৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। কারণ এটি ডিটক্সিফিকেশনে সহায়তা করে।

৭. বিশ্রাম

8 ঘণ্টা ঘুমাতে ভুলবেন না। ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে স্ক্রিন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। ঘুমের মান উন্নত করতে ঘুমানোর আগে ইয়োগা করুন।

৮. শুকনো ফল খাওয়া

পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে শোয়ার আগে ৩-৪টি শুকনো ফল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা পান করুন।