‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আমলা-কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ, তালিকায় ৯৪ জন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সচিবালয়ে থাকা আওয়ামী লীগের দোসর আমলাদের তালিকা প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য’। আওয়ামী পুনর্বাসন ঠেকাতে সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নিয়ে আত্মপ্রকাশ করা এই সংগঠনটি আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয়ে কর্মরত ৪৪ জন আমলার তালিকা এবং প্রশাসনের ৫০ জনের মতো কর্মকর্তার তালিকা প্রকাশ করেছে।
আজ সকাল ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সচিবালয়ে ও প্রশাসনে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসরদের তালিকা প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করে জুলাই ঐক্য। তারা আট সচিবালয়ে কর্মরত আওয়ামী লীগের দোসরদের চলতি মাসের মধ্যে চাকরিচ্যুতির দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জুলাই ঐক্যের সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে শুধু নয়, গত সাড়ে ১৫ বছর সচিবালয়ের আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেভাবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছিল, তারা এখনো সচিবালয়সহ বিভিন্ন স্থান নিয়ন্ত্রণ করছে।
এ সময় শহীদ মুহতাসির রহমান আলিফের বাবা মোহাম্মদ গাজীউর রহমান তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নাম পড়ে শোনান। তালিকায় ৪৪ জন আমলার নাম রয়েছে, যাদের আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরবর্তী পদক্ষেপে কালচারাল ফ্যাসিস্ট, শিক্ষাঙ্গন, চিকিৎসাঙ্গন, আইনাঙ্গন এবং গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সেক্টরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে জুলাই ঐক্য।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে আট দফা দাবি জানিয়েছে জুলাই ঐক্য। দাবিগুলো হচ্ছে-
১। আগামী ৩১ মের মধ্যে তালিকায় উল্লিখিত সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগের সব দোসরকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে হবে।
২। তিন সরকারি কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃশ্যমান কাজের অগ্রগতি দেশের জনগণকে দেখাতে হবে।
৪। দেশের তথ্যপাচারকারী ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালানো, নির্দেশকারী এবং সহযোগিতাকারী সব আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পরিবারসহ সবার ব্যাংক হিসাব ও অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে।
৫।
স্বৈরাচারের দোসর আমলা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬। আগামী ৩৬ জুলাইয়ের (৫ আগস্ট) মধ্যে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত সব স্বৈরাচারের দোসরের শ্বেতপত্র সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
৭। আইনের ১৩২ ধারার কারণে থানায় খুনি পুলিশদের নামে মামলা নেওয়া হয় না। আগামী ৩১ মে ২০২৫ খ্রির মধ্যে এই ধারা বাতিল অথবা সংশোধন করতে হবে।
৮। আগামী ৩১ মের মধ্যে সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তারা এখন কোথায় আছে এবং কতজন কার সহযোগিতায় দেশ ছেড়েছে, তাদের তালিকাও প্রকাশ করতে হবে।