নাশকতার মামলায় প্রফেসর ড. তাজমেরি এস ইসলাম কারাগারে
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. তাজমেরি এস ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকালে তার রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে বিকেলে আদালতে নিয়ে পুরনো একটি নাশকতার মামলায় তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক। একই মামলার প্রধান আসামী হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকার সারাদেশকে গ্রাস বরতে সর্বনাশা নীতি অবলম্বন করেছে। এই নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে হুকুমবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিরদিনের জন্য বিরোধী দল ও ভিন্ন মতের অস্তিত্বের অবসান ঘটানো। দিন যতোই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততোই ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। এই সরকার বিরোধীদল দমনে হয়রানী, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশব্যাপী ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে এজন্য যে, মানুষের প্রতিবাদী স্রোতে যেন রাজসিংহাসন উল্টে না যায়। এই লক্ষ্য পূরণে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় বিশ^বিদ্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষক অধ্যাপিকা তাজমেরী ইসলামকে বানোয়াট মামলায় গ্রেফতার ও জামিন বাতিল করে কারান্তরীণ করা হয়েছে। তাজমেরী ইসলামের অপরাধ হলো তিনি বিএনপি’র রাজনীতি তথা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করেন। বর্তমান সরকারের আমলে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের উপরও নির্দয় নির্যাতন-নিপীড়ণ ও জুলুম চালানো হচ্ছে। সরকারের হিংস্র ছোবল থেকে কেউই রেহাই পাচ্ছে না। মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী দলের নেকাকর্মীসহ দেশের গুণী মানুষদেরকে কারান্তরীণ রাখা গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ করে রাখারই মহাপরিকল্পনা। জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের কাছ থেকে এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে এই সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে, আর এই ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর। সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বিভৎস বিকৃত রুপ তীব্র মাত্রা ধারণ করেছে। বিরোধী দল সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক অধিকার থেকে এখন বঞ্চিত। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। মৌলিক ও মানবাধিকার বর্তমান সরকার আগেই ভুলুন্ঠিত করেছে। গণমাধ্যম এখন পরাধীন। আইন-আদালতও এখন শাসকগোষ্ঠীর মুখাপেক্ষী। শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: