লর্ডসে উত্তাপ, ক্রলিকে কেন শাসালেন গিল?

লর্ডসে উত্তাপ, ক্রলিকে কেন শাসালেন গিল?

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক:  লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিন ভারতের জন্য ছিল দারুণ এক সম্ভাবনার দিন। শনিবারের খেলা রোমাঞ্চও ছড়িয়েছে বেশ। তবে দিনের শেষে আলো কেড়ে নিল শুবমান গিল আর জ্যাক ক্রলির উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।

দিনের শেষে তখন দুই ওভার বাকি ছিল, ইংল্যান্ডের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছিল ভারত। কিন্তু সেই সুযোগ আর আসেনি। কারণ, ইংল্যান্ড ওপেনার জ্যাক ক্রলি সময় নষ্ট করতে করতে একটা ওভার খেলতেই পার করলেন ছয় মিনিটের বেশি। ফলে ভারতের হাতে থাকা শেষ দুই ওভার হয়ে গেল একটিতে।

ক্রলি যেমন খেললেন, তাতে তিনি যে সময় ক্ষেপণ করতে চাইছিলেন, তা ছিল স্পষ্ট। বলের মাঝে মাঝ পিচে কথা বলা, থেমে যাওয়া এসব করছিলেন। জশপ্রীত বুমরাহ রান আপ নিচ্ছেন যখন, তখনও ক্রিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাও আবার একবার নয়, দুবার।

শান্তশিষ্ট শুবমানের অন্য রূপের দেখা মেলে তখন। ক্রিজের পাশ থেকে তিনি ক্রলিকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করতে থাকেন।

এরপর যা হলো তা অবশ্য মোটেও ইচ্ছাকৃত নয়। চতুর্থ বলে তার হাতে বল লাগল। তাতে মাঠেই ডাকতে হলো মেডিক্যাল দলকে। সেবা নিতে হলো সেখানে। গিল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সেখানেও। ক্রলিকে উদ্দেশ্য করে এবার তালি দিতে শুরু করেন। তা যে উপহাসের তালি, সেটা বলাই বাহুল্য।

গিলের এমন আচরণ দেখে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে বৈকি! এতদিন তিনি মাঠে ছিলেন ধোনির মতো শান্ত। কিন্তু লর্ডসে সেই বিকেলে যেন তিনি হয়ে উঠলেন বিরাট কোহলির মতো।

দিন শেষে ভারত ও ইংল্যান্ড দুই দলের প্রতিনিধিই অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে পক্ষ নিলেন ক্রলির। ইংল্যান্ড স্পেশালিস্ট স্কিল কনসাল্টেন্ট টিম সাউদি বললেন, ‘এসব তো খেলারই অংশ। যদি তা নাই হয়, তাহলে গিল কাল দুপুরে মাঠে শুয়ে মাসাজ নিচ্ছিল কেন? দিন শেষে খেলার সময় নষ্ট করাটা খেলার অংশ, এটা দিনটাকে রোমাঞ্চকর করে তোলে।’

এদিকে লোকেশ রাহুলও কথা বললেন একই সুরে। তার ভাষ্য, ‘এটা একজন ওপেনার বুঝতে পারবে। দিনের শেষ ভাগে খেলার সময় নষ্ট করাটা খেলারই অংশ। সবাই জানে সেখানে কী হচ্ছিল।’