প্লাস্টিক নয়, কোন ধরনের বোতলে পানি রাখা সবচেয়ে নিরাপদ?

প্লাস্টিক নয়, কোন ধরনের বোতলে পানি রাখা সবচেয়ে নিরাপদ?

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক:  গরমের সময়ে স্বস্তির খোঁজে ঠাণ্ডা পানি অনেকের প্রধান ভরসা। এ সময় আমরা ফ্রিজে বোতলভর্তি পানি রাখি। কিন্তু এই বোতলগুলো কতটা নিরাপদ? চলুন, জেনে নিই কোন ধরনের বোতলে পানি রাখা উচিত আর কোন উপাদান আপনার অজান্তেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে।

বর্তমানে প্লাস্টিক, কাচ ও স্টেইনলেস স্টিল—এই তিন ধরনের উপাদানে তৈরি বোতলই বেশি ব্যবহৃত হয়।
প্রত্যেকটিরই রয়েছে নিজস্ব সুবিধা ও অসুবিধা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু পানি রাখার জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথাও ভাবা উচিত।

প্লাস্টিকের বোতল: সস্তা ও সহজলভ্য হলেও বিপদের আশঙ্কা
বাজারে সবচেয়ে সহজলভ্য ও সস্তা প্লাস্টিকের বোতল। কিন্তু এদেরই রয়েছে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি।
অনেক প্লাস্টিকের বোতলে থাকে বিপিএ (বিসফোনেল এ), যা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের কারণ হতে পারে। যদিও এখন বিপিএ-মুক্ত বোতলও পাওয়া যায়, তবুও দীর্ঘ সময় পানি রাখলে প্লাস্টিক থেকে রাসায়নিক পদার্থ জলে মিশে যেতে পারে, যার ফলে বদলে যেতে পারে পানির স্বাদও। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খুব প্রয়োজন না হলে প্লাস্টিকের বোতল এড়িয়ে চলাই ভাল।

কাচের বোতল: স্বাস্থ্যকর, কিন্তু সাবধানতা জরুরি
কাচের বোতল স্বাস্থ্যসচেতনদের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে।
এতে রাসায়নিক পদার্থ থাকে না, ফলে পানির স্বাদ অপরিবর্তিত থাকে। ফ্রিজে সংরক্ষণের জন্য কাচ আদর্শ হলেও এর বড় সমস্যা ভঙ্গুরতা। সামান্য অসাবধানতাতেই ভেঙে যেতে পারে। তাছাড়া ওজন বেশি হওয়ায় বহন করাও ঝামেলার।

স্টেইনলেস স্টিলের বোতল: সুরক্ষা ও স্থায়িত্বে সেরা
সব দিক বিবেচনায় স্টিলের বোতল সবচেয়ে নিরাপদ ও টেকসই বিকল্প।
সাধারণত এগুলি বিপিএ-মুক্ত হয় এবং দীর্ঘ সময় ব্যবহারে স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। ফ্রিজে পানি রাখার ক্ষেত্রেও উপযুক্ত, কারণ এতে পানির তাপমাত্রা বেশি পরিবর্তিত হয় না। যদিও দামে কিছুটা বেশি, তবে দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক ও সুরক্ষিত।

তাহলে কোনটি বেছে নেবেন?
বাড়ির ভিতরে ব্যবহারের জন্য কাচের বোতল ভাল, যদি সাবধানতা বজায় রাখা যায়। বাইরে বের হলে বা নিয়মিত ব্যবহারের জন্য স্টেনলেস স্টিলই সবচেয়ে ভালো পছন্দ। প্লাস্টিকের বোতল একান্ত প্রয়োজন না হলে এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে বিপিএ-মুক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তা সাময়িক সময়ের জন্যই নিরাপদ।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা