অরুণ কুমার বিশ্বাসের লেখালেখির পঁচিশ বছরপূর্তি উদযাপন

অরুণ কুমার বিশ্বাসের লেখালেখির পঁচিশ বছরপূর্তি উদযাপন

প্রথম নিউজ, অনলাইন:   বিশিষ্ট গোয়েন্দা লেখক অরুণ কুমার বিশ্বাসের সাহিত্যজীবনের পঁচিশ বছরপূর্তি উদযাপিত হলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন অডিটোরিয়ামে এক উজ্জ্বল আয়োজনের মাধ্যমে। এ আয়োজনে লেখকের পত্নীসহ উপস্থিত ছিলেন পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট কবি মারুফুল ইসলাম, মাশুক আল হোসাইন, মনি হায়দার, নিশাত সুলতানা এবং কবি ও আলোকচিত্রী রানা মাসুদ।

দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত অরুণ কুমার মূলত গোয়েন্দাকাহিনি লিখেই পরিচিতি পেয়েছেন। তবে রম্যরচনা, কিশোর উপন্যাস, থ্রিলার, রোমাঞ্চগল্প, এমনকি ভূতুড়ে কাহিনিতেও তিনি সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন।

আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে বক্তারা অরুণ কুমার বিশ্বাসের লেখনী ও তার সৃষ্টিকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন। মনি হায়দার বলেন, ‌‘বাংলাদেশে একটি মৌলিক গোয়েন্দা চরিত্রের যে অভাব ছিল, অরুণ কুমার বিশ্বাস তা সফলভাবে পূরণ করছেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নিশাত সুলতানা লেখকের অনুজপ্রতিম হিসেবে তার রচনাশৈলীর প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ করেন। কবি ও আলোকচিত্রী রানা মাসুদ বলেন, ‘লেখক যেমন সাবলীলভাবে লেখেন, তেমনি উপস্থাপনাও করেন। তার লেখার স্টাইল বয়ে চলা নদীর মতোই স্বচ্ছন্দ।’ 

মাশুক আল হোসাইন, যিনি লেখকের অনুজ এবং একই বিভাগে চাকরির সুবাদে তাকে আগে থেকেই চিনতেন, জানান-  ‘অরুণ কুমারের লেখায় রয়েছে আলাদা এক স্বাদ, যা পাঠককে সহজেই টানে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সায়েমা শাহীন সুলতানা তার বক্তব্যে বলেন, ‘অরুণ কুমার বিশ্বাস আমার ছেলেমেয়েদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একজন লেখক। এর মাধ্যমেই বোঝা যায়, তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন।’

সভাপতির বক্তব্যে কবি মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘অরুণ কুমার বিশ্বাস একজন বহুলপ্রজ লেখক। গোয়েন্দা গল্প লেখার সমস্ত কলাকৌশল তার আয়ত্তে। তার সৃষ্টি অলোকেশ রয় চরিত্র ইতোমধ্যেই সারা দেশে পাঠকমহলে সমাদৃত হয়েছে।’

আলোচনা শেষে সংগীত পরিবেশন করে জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘পাতা এন্ড পাপা’, যা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সব মিলিয়ে বলা যায়, অরুণ কুমার বিশ্বাসের সাহিত্যজীবনের এই রজতজয়ন্তী উদযাপন এক আনন্দঘন ও স্মৃতিমধুর সন্ধ্যায় পরিণত হয়।

অরুণ কুমার বিশ্বাস