তালহা স্বীকৃতি দেননি, প্রেগন্যান্ট শুনেই তালাক দিয়ে দেন : হ্যাপি

প্রথম নিউজ, অনলাইন: মডেল-অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি এবার স্বামী তালহা ইসলামে বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। ইসলামি অনুশাসন অনুযায়ী জীবন-যাপন শুরু করা নায়িকা হ্যাপি এতদিন ছিলেন অনেকটাই প্রচারের আড়ালে। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে আবারও আলোচনায় এলেন তিনি।
এবার স্বামী তালহার এক সন্তানকে অস্বীকার করার কথা জানালেন নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
শুধু তাই বাচ্চার কথা শুনে সেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বাচ্চাটার নাম আরোয়া। বাবা হিসাবে জনাব তালহা স্বীকৃতি দেয়নি। প্রেগন্যান্ট শুনেই তালাক দিয়ে দেয়।
কেউ জিজ্ঞেস করলে। সন্তানের কথাই সে বলে উসমান।যারা তাকে চেনেন যখন জিজ্ঞেস করে বাচ্চা কয়জন? নাম কি? ছেলে না মেয়ে? এগুলো নিশ্চয়ই আপনারা শুনেছেন কখনো শুনেছেন তার একটা মেয়ে আছে শুনেছেন কখনো তার মুখে? এবং আমাকে প্রায়ই বলত, এই বাচ্চাটা মনে হয় আমার না, ডিএনএ করে দেখবো নাকি।
হ্যাপি বলেন, যারা ডিপলি জানে সেটা ভিন্ন কথা।
আমি অনেক বার বলেছি বাচ্চাটার জন্য হলেও এই মহিলাকে স্ত্রী করে রেখে দাও।(নারীটারও একই দাবি ছিল) তখন সে উত্তর দিত "দেখতে তো হয়েছে ওর মার মতো, ভালো লাগে না। এবং খুবই রাগ হয়ে যেত। কেন আমি তার ইচ্ছার বাইরে কথা বললাম ।' তালহা স্বীকৃতিতে না দিলেও আজকে আমি সবাইকে দেখিয়ে দিলাম এটা তালহার কন্যা সন্তান।
যে মা স্ট্রাগল করে এই বাচ্চাটাকে নিয়ে করছে। মাসে মাসে দান খয়রাত করার মত একটা অ্যামাউন্ট দিয়েই তার কাজ শেষ।
সাবেক এই মডেল বলেন, আর আমার বেলায় এসে বাচ্চা বাচ্চা ব্যাপার চলে আসে অথচ ওই বাচ্চাকে জীবনে ৩-৪ বারও দেখতে যায়নি। আর আমার ক্ষেত্রে এসে বাচ্চা বাচ্চা করে ইমোশন দেখায়। মানুষকে বোঝাতে চাই সে বাচ্চাকে অনেক ভালোবাসে। হচ্ছে আমার টাকা পয়সা খাওয়া বছর ধরে বসে বসে শুয়ে শুয়ে আমার ইনকাম করা টাকা খেয়ে গায়ে অনেক তেল হয়ে গিয়েছে তার। আর সে এতই জঘন্য যে এত বছর আমার উসিলায় খানাপিনা পেটে ভরলো আর সেই রিজিকের মালামাল জিম্মি করে রেখে ট্রাক ভরে নিয়ে যায়। নিজের চরিত্রের প্রমাণ ঢাকতে আমার মোবাইল দুইটি ও নিয়ে যায়। আবার আমার আইনজীবীকে কল দিয়ে বলে মালামাল নাকি তার টাকার। লজ্জাও করে না।