ওই ৮৭ হাজার ভোটই হাতপাখার : মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক
৩৪ হাজার ভোট হচ্ছে নৌকার প্রকৃত ভোট। ওখানে আসলে নৌকা পাস করেনি, হাতপাখা পাস করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের কতজন লোক আছে সেটা আমরা জানি।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেছেন, আমি তো ভালোমতোই জানি, আমি বাড়িতেই ছিলাম। সব জায়গা ঘুরে দেখেছি। ওই যে নৌকার ৮৭ হাজার ভোট দেখিয়েছে, সেটা হাতপাখার ভোট। ৩৪ হাজার ভোট হচ্ছে নৌকার প্রকৃত ভোট। ওখানে আসলে নৌকা পাস করেনি, হাতপাখা পাস করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের কতজন লোক আছে সেটা আমরা জানি।
শুক্রবার (১৬ জুন) জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের পাদদেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (ঢাকা মহানগর) আয়োজিত বরিশালে হাতপাখার প্রার্থী মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ এবং ব্যর্থ সিইসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা সৈয়দ মোছাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, খুলনাতেও হাতপাখার জয় হয়েছে। কিন্তু সেখানেও ইভিএমে ষড়যন্ত্র করেছে। আমরা নিজেরা সেটি বুথে হাতেনাতে ধরেছি। জগদ্দল পাথরের মতো আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সিইসি একজন মানসিক রোগী। তার পদে থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। এই মানসিক রোগীকে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করাতে হবে পাবনায় নিয়ে। এখানে সিইসিকে আর রাখা যাবে না। এ জালেম সরকারকে হঠাতে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। আমাদের একটাই কথা এ জালিম সরকারকে আর থাকতে দেওয়া যাবে না।
কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আগামীকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমাদের সমাবেশ হবে। বিকেল ৪টার সমাবেশে আপনারা সবাই থাকবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের পতন না ঘটবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাবই। তিনি বলেন, আগামী রোববার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের পল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।
দলটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, শুধু বরিশাল আওয়ামী লীগ নয়, সরকার ও সারাদেশের আওয়ামী লীগ এই হামলায় জড়িত। আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন এ ধরনের পাতানো নির্বাচনে জড়িত। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে পল্টন মোড় হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় পর্যন্ত তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন।