শুভ জন্মদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রথম নিউজ, অনলাইন: ভোরের আলো ফোটার পর পরই রাজধানীর রাস্তাঘাটে মানুষের কোলাহল বেড়ে যায়। মানুষ ছুটে চলে কর্মস্থলে। নগরীতে বেড়ে উঠে কর্মজীবী মানুষের পদচারণা। এটা এই নগরীর নিত্যদিনের কথকথা। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত সুউচ্চ গ্রামীণ ব্যাংক দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। গেটের নিরাপত্তা থেকে অফিস জুড়ে ছোটাছুটি-কর্মচাঞ্চল্য। ভবনের ভেতরে বসে আছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ও ক্ষুদ্রঋণের জনক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার রুমে থরে থরে সাজানো অসংখ্য বই। যেন একটি লাইব্রেরি। পরনে গ্রামীণ চেক পাঞ্জাবি ও কোর্তা। সাধারণ এক অসাধারণ মানুষ। ধীরস্থির ও সংকল্পে অবিচল। সবাই তাকে ‘স্যার’ বলেন। জনগণ তাকে শ্রদ্ধা করেন-ভালোবাসেন। তিনি দারিদ্র্যবিমোচনের ধারণা দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। দারিদ্র্য পাঠাবেন জাদুঘরে।
ড. ইউনূস কাজের মানুষ। কাজকে তিনি বড় মনে করেন। কাজই তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আগামী দিনে তিনি সুন্দর, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য উৎসবমুখর নির্বাচন জাতিকে উপহার দিবেন। সেই লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন। বাস্তবায়ন করবেন মানবতাবিরোধী আচরণের বিচার, সংস্কার ও জুলাই ঘোষণাপত্রের সমাধান করবেন। ইতিমধ্যে লেখক হিসেবে তার তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। “পথের বাধা সরিয়ে দিন মানুষকে এগুতে দিন” “ব্যাংকার টু দ্যা পাওয়ার” “তিন শূন্য”। এসব গ্রন্থ পাঠক সমাজে দারুণভাবে সমাদৃত হয়েছে। মহান আল্লাহপাকের কাছে তার সুস্থতা কামনা করি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন।