সাংবিধানিক সংকট তৈরির পাঁয়তারা চলছে: সালাহউদ্দিন

রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবিধানিক সংকট তৈরির পাঁয়তারা চলছে: সালাহউদ্দিন

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশে অনেক রকমের সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার পাঁয়তারা চলছে। সাংবিধানিক সংকট সামনে রেখে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে কোনো সুযোগ না নিতে পারে, সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আজ অনেক রকমের সাংবিধানিক সংকট তৈরি করার পাঁয়তারা চলছে। সাংবিধানিক সংকট যদি হয়, রাষ্ট্রীয় সংকট যদি হয়, রাজনৈতিক সংকট যদি হয়, সেই রাজনৈতিক সংকটের পেছনে কী শক্তি আছে, সেটা আগে আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। তার ফলাফল কী হবে, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। তিনি বলেন, যাতে কোনো রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টি না হয়, যাতে আমাদের সাংবিধানিক কোনো সংকট শুরু না হয়ে যায় এবং সেই সাংবিধানিক সংকট সামনে রেখে ফ্যাসিবাদ ও পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে কোনো সুযোগ না নিতে পারে, সেবিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আর বিপ্লবের ফসল ছিনতাই হয়ে যায় কী না, সেটা চিন্তা করতে হবে।

সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে, এটা জনতার দাবি। ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে একটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে। আমাদের কোনো বক্তব্য ক্রিয়া–প্রতিক্রিয়া নেই। এটা যারা করেছেন, আপনারা সারা দেশের মানুষের কাছে জিজ্ঞেস করেন, কীভাবে তারা প্রশংসিত হয়েছেন। প্রক্রিয়া কী হলো, সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাবে। ফলাফল তো মানুষ গ্রহণ করেছেন। এখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণহত্যা চালানোর পর আবার রাজনীতি করার অধিকার রাখে কী না, সেই প্রশ্নের ফয়সালা হবে জনগণের আদালতে।

তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে একটা সংশোধনী আনার কথা শুনেছি যে, রাজনৈতিক দল হিসেবে যদি গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হয়, সেই সংগঠনের বিচার করতে হবে। সেই সংশোধনী যদি আইনে আনে এবং ট্রাইব্যুনালে যদি সেটার বিচার হয়, বিচারে যদি তারা দায়ী হয়, সেই বিচারের ফলাফল কী হয়, সেটা তখন দেখা যাবে। এখন কোনো ফয়সালা দিতে চাই না। প্রশাসনিক আদেশে বা আমি, আপনি চাইলে কেউ নিষিদ্ধ হোক, সেটা আমরা চাই না।