তাইওয়ানকে ছেড়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করলো হন্ডুরাস
চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে হন্ডুরাস। এর কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার চীনের তাইওয়ান অঞ্চলের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে মধ্য আমেরিকার দেশটি।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক : চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে হন্ডুরাস। এর কয়েক ঘণ্টা আগে রোববার চীনের তাইওয়ান অঞ্চলের সঙ্গে সবধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে মধ্য আমেরিকার দেশটি। এর মধ্য দিয়ে হন্ডুরাস এখন তাইওয়ানকে আর স্বাধীন দেশ নয়, বরঞ্চ চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হলে তাইওয়ানকে চীনের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হয় দেশগুলোকে। এই ‘এক-চীন’ নীতি মেনেই চীনের সঙ্গে সব দেশ কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদিও পশ্চিমা দেশগুলো তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রচেষ্টায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দেয় কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দ্বীপটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় না।
হন্ডুরাস এমন সময় এই ঘোষণা দিল যখন মধ্য আমেরিকা সফরের পরিকল্পনা করছেন তাইওয়ানের আঞ্চলিক নেতা সাই ইং-ওয়েন। সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বেইজিং সফরে এসেছেন হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডুয়ার্ডো এনরিকে রেইনা। তিনি বেইজিং-এ চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গাং-এর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সম্পর্ক স্থাপনের নথিতে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে স্বীকৃতিও প্রদান করলো হন্ডুরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৮১টি দেশ এক-চীন নীতি মেনে চীনকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাইওয়ানকে চীনের অংশ বলে মেনে নিয়েছে। কিন গাং বলেন, এই পদক্ষেপ পুরোপুরি প্রমাণ করে যে এক-চীন নীতি অনুসরণ করা বিশ্বের জন্য একটি দায়িত্ব। এর আগে শনিবার তাইওয়ানের সঙ্গে সবধরণের সম্পর্ক ছিন্ন করে হন্ডুরাস। দেশটির প্রেসিডেন্ট জিওমারা ক্যাস্ত্রো তার নির্বাচনী প্রচারণায় চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে হন্ডুরাস যে চীনের হাত ধরতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত বেশ কিছুদিন ধরেই পওয়া যাচ্ছিল। গত সপ্তাহে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে যান। তার আগে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো বলেছিলেন, তার সরকার বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করতে যাচ্ছে। শনিবার একটি সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে হন্ডুরাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তারা পিপলস রিপাবলিক অব চায়নাকে একমাত্র বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। যারা সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাইওয়ানকে ‘চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ’ মানে।
এদিকে তাইওয়ান অঞ্চলের রাজধানী তাইপেতে এক সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেপ উ বলেন, ক্যাস্ত্রো এবং তার সরকার চীনকে নিয়ে ‘সবসময়ই বিভ্রমের মধ্যে ছিলেন’। চীন সবসময় হন্ডুরাসকে প্রলুব্ধ করে চলছিল। এ কারণেই তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে হন্ডুরাস। তাইওয়ানের পররাষ্ট্র দপ্তর এখন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: