প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ যেন না হয়, নির্বাচন যেন না হয়—এই উদ্দেশ্যেই মিটফোর্ডের হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, শুধু মিটফোর্ড নয়, চাঁদপুরে মসজিদে ইমামের ওপর হামলা, খুলনায় সাবেক যুবদল নেতাকে হত্যা—এসবই নির্বাচন বানচাল ও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ঠেকাতে করা হচ্ছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “মিটফোর্ডে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই—অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।”
তিনি আরও বলেন, “যুবদলের যে কর্মী নিহত হয়েছেন, তাকে উদ্দেশ্য করেই ‘চাঁদাবাজি’ প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে, যাতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ না হয় এবং নির্বাচন না হয়। এই ঘটনার পর একটি দলের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ নেই। যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়।”
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “অনেকে বলেন সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তারা বাধা দেবে। অথচ বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্র পতনের পর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেটি ব্যর্থ হলে যারা বাধা দেবে, তাদের নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে।”
তিনি বলেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন, স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের বলব—বুঝে শুনে বলবেন। এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি যে রক্ত দিয়েছে, তা অপূরণীয়। বাংলাদেশের গণতন্ত্র বর্তমানে স্বৈরতন্ত্রের হাতে বন্দি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এম গিয়াস উদ্দিন খোকন। আরও বক্তব্য দেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম. রকিবুল ইসলাম রিপন, উন্মুক্ত গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি রমিজ উদ্দিন রুমীসহ প্রমুখ।