জেসিন্ডা আরডার্নের আবেগঘন বিদায়

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেসিন্ডা আরডার্

জেসিন্ডা আরডার্নের আবেগঘন বিদায়
জেসিন্ডা আরডার্নের আবেগঘন বিদায়

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। বুধবার বিদায় অনুষ্ঠানে শতাধিক পার্লামেন্টারিয়ান উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এর পর পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ক্রিস হিপকিন্স।

এর আগে গত সপ্তাহে জেসিন্ডা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তার আগে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্মরণকালের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশটির হাল ধরে ছিলেন এই নারী প্রধানমন্ত্রী। 

জেসিন্ডার বিদায়ের পর বুধবার রাজধানী ওয়েলিংটনে এক অনুষ্ঠানে শপথ নেন হিপকিন্স। এ সময় নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার আগে তিনি উজ্জীবিত ও উচ্ছ্বসিত। ‘এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সুযোগ ও দায়িত্ব।’ খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৪ বছর বয়সি এই প্রধানমন্ত্রীর এখন কাজ হলো— সরকারের ক্ষয়িষ্ণু সুনাম পুনরুদ্ধার করা। অবনতিশীল অর্থনীতি এবং দেশটির সক্রিয় হয়ে ওঠা সংরক্ষণশীল বিরোধীদের কারণে সরকারের সুনামে ভাটা পড়েছে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেসিন্ডা আরডার্নকে সর্বশেষ গত বুধবার দেখা যায়, যখন তিনি পার্লামেন্ট ভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন এবং কয়েকশ স্টাফ ও দর্শক টানা হাততালি দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

নিউজিল্যান্ডের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান প্রিন্স উইলিয়াম। টুইটারে তিনি লিখেছেন— ‘শুধু আমাদের দাদির মৃত্যুর সময় নয়, বরং সারা বছর আপনার সমর্থন, বন্ধুত্ব ও নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ।’

জেসিন্ডাকে তার উদারতা ও শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য তাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এ সময় নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্সের সঙ্গেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে খু্বই সাদৃশ্য রয়েছে। আমি আশা করি, আমরা আমাদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে সামনাসামনি কথা বলব।’

অন্যদিকে লোকশিল্পী ইউসুফ ইসলাম তথা ক্যাট স্টিভেন্সও আরডার্নের প্রশংসা করেছেন। ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত অর্ধশত মুসলিমের স্মরণে কনসার্টের আয়োজন করেছিলেন ব্রিটিশ এ শিল্পী।

টুইটারে তিনি আরডার্নকে পিস ট্রেনের সমর্থক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর গোটা নিউজিল্যান্ডের মানুষকে এক করতে সমর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা।

জেসিন্ডা আরডার্ন ২০১৭ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর পর ২০২০ সালের নির্বাচনেও বিশাল বিজয় লাভ করেন তিনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: