সড়কে ছোট-বড় গর্ত, দুর্ভোগ

এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ মৎস্য জোন মুহুরী প্রকল্পসহ ৪ ইউনিয়ন ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করে।

সড়কে ছোট-বড় গর্ত, দুর্ভোগ

প্রথম নিউজ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম): দৈন্যদশা মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ-মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত গাড়ি যাতায়াত করে। টেকসই সংস্কার না করায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মানুষকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ১৩ কিলোমিটারের সড়কটির প্রায় ৫-৭ কিলোমিটারের অংশে ভেঙে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ছোট-বড় পিকআপ, বাস-ট্রাক, অ্যাম্বুল্যান্স, কার-মাইক্রো, স্কুলবাসসহ সিএনজি চালিত অটোরিকশার চলাচল রয়েছে এ সড়ক দিয়ে। সড়কে সৃষ্ট গর্তের কারণে কোনো যানবাহনই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া সড়কে নিষ্কাশন সুবিধা না থাকায় পানি জমে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ১০ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে লেগে যাচ্ছে ৪০-৪৫ মিনিট।

স্থানীয়রা জানান, এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ মৎস্য জোন মুহুরী প্রকল্পসহ ৪ ইউনিয়ন ও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করে। এছাড়াও প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী জোরারগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। এলাকার মানুষ হাসপাতাল, দৈনন্দিন বাজার ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন এ সড়ক হয়ে। সড়কের এ বেহাল অবস্থার কারণে যানবাহনগুলোর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে কখনো সড়কে আটকে যাচ্ছে। আবার তারা আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সড়কে চলাচল করা ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, সড়কের অবস্থা এতো খারাপ যে ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে ৪০-৪৫ মিনিট সময় লাগে। বিশেষ করে বিষুমিয়ারহাট থেকে নিয়াজি পুকুর পর্যন্ত সড়কের অবস্থা একেবারে নাজুক। আমরা এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।

মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, সড়কের দুরবস্থার কারণে আমরা সময় মতো আড়তে মাছ নিতে পারছি না। এতে করে প্রায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। আমিন শরীফ নামের এক যুবক বলেন, মুহুরী প্রজেক্ট অনেক সুন্দর পর্যটন স্পট। আমরা পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি। কিন্তু সড়কের অবস্থা বেশি খারাপ। আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। সড়ক এমন থাকলে মানুষ ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

ওচমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, সড়কের কারণে এলাকা থেকে অন্য জায়গায় যেতে মন চায় না। আমার অন্য জায়গায় গেলে এলাকায় আসতে মন চায় না। সড়কের সংস্কারের বিষয়ে উপজেলার সমন্বয় সভায় কয়েকবার আলোচনা করেছি। মিরসরাই উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। বার বার এ সড়ক নষ্ট হয় মাছবোঝাই গাড়ি চলাচলের কারণে। মাছের ড্রামে কেমিক্যাল যুক্ত যে পানি ব্যবহার করা হয় সেটি রাস্তায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে।