সুদানে আরএসএফ নেতা আবদেল রহিমের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
তার নেতৃত্বে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর সদস্যরা সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে আছে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জাতিগত হত্যাকাণ্ড, যৌন সহিংসতার ব্যবহার।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সুদানের আধা সামরিক বাহিনীর নেতা আবদেল রহিম হামদান দাগালোর (আবদেল রহিম) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি)। তার নেতৃত্বে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর সদস্যরা সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে আছে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে গণহত্যা, জাতিগত হত্যাকাণ্ড, যৌন সহিংসতার ব্যবহার। এ বছর ১৫ই এপ্রিল আরএসএফ এবং সুদানিজ আর্মড ফোর্সেসের (এসএএফ) মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তখন থেকে উভয় পক্ষই অস্ত্রবিরতি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। আরএসএফ এবং মিত্র মিলিশিয়ারা দারফুর এবং অন্যান্য স্থানে বিশ্বাসযোগ্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কারণে আবদেল রহিমের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। ট্রেজারি ফর টেরোরিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সে আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান ই নেলসন বলেন, সুদানে মারাত্মক এবং বিস্তৃত মানবাধিকার লংঘনের জন্য দায়ী যারা তাদেরকে জবাবদিহিতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতির অংশ হলো এই নিষেধাজ্ঞা।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উভয়পক্ষকে শত্রুতা বন্ধ করে অস্ত্রবিরতি এবং সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুদানের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুদ্ধে যৌন সহিংসতার সঙ্গে যেসব কাপুরুষ জড়িত তাদের বিরুদ্ধে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা। এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডামের অধীনে। উল্লেখ্য, আবদেল রহিম আরএসএফের একজন উচ্চ পদস্থ নেতা। তিনি আরএসএফের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালোর ভাই।