রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এই প্রথম কিয়েভে যাচ্ছেন মোদি
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সদ্য রাশিয়া সফর সেরে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসেই ইউক্রেন যাচ্ছেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম কিয়েভে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ২৩ আগস্ট ইউক্রেনে যাবেন তিনি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সদ্য রাশিয়া সফর সেরে আসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসেই ইউক্রেন যাচ্ছেন। দু'দেশের মধ্যে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা যুদ্ধের আবহে এই প্রথম কিয়েভে গিয়ে মোদি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতালিতে জি৭ সামিটে মোদি ও জেলেনস্কিকে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। পরস্পরকে আলিঙ্গনও করেছিলেন দুই রাষ্ট্রনায়ক। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেয়ার পর মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, তখনই মোদিকে ইউক্রেনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি। এর আগে গত মার্চে মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল জেলেনস্কির। দু’দেশের সম্পর্ক কীভাবে আরও শক্তপোক্ত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয় দু’জনের।
এবার জানা গেল, আগস্টে ইউক্রেন সফরে যাচ্ছেন মোদি। গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। সেই সময়ও তিনি যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছিলেন। পুতিনের সঙ্গে নৈশভোজের আসরে মোদি বলেছিলেন, “ জাতিসংঘের নীতিকে সম্মান জানানো উচিত। যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। কূটনীতি ও আলোচনাই পথ দেখাবে।” কীভাবে তা সম্ভব? শোনা যাচ্ছে, মোদির সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় পুতিন নাকি যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে বলেই দিয়েছেন- ইউক্রেনকে অবিলম্বে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার চেষ্টা ছাড়তে হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে মোদির কিয়েভ-সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। মোদি কি দীর্ঘকালের 'ন্যাটো ড্রিম' থেকে জেলেনস্কিকে সরাতে পারবেন? এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাতের পর যুদ্ধ থামাতে তিনি কী বার্তা দেন, তার দিকে মুখিয়ে গোটা বিশ্ব। সূত্র : দ্য হিন্দু