রাবি শিক্ষার্থী ইভার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী পলাশ গ্রেফতার

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সিপিএসসি (ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানি) ও র‍্যাব-৫ এবং র‍্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাবি শিক্ষার্থী ইভার আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী পলাশ গ্রেফতার

প্রথম নিউজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা আরাবী ইভার আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার প্রধান আসামি মো. নাজমুল মাহমুদ পলাশকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সিপিএসসি (ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশাল কোম্পানি) ও র‍্যাব-৫ এবং র‍্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‍্যাব-৫।   গ্রেফতার পলাশ রাজশাহী মহানগরের কর্ণহার থানার দেবেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মুসলেম উদ্দীনের ছেলে।

র‍্যাব-৫ থেকে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সায়মা আরাবী ইভা তার মাস্টার্স পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। গত ১৪ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে শাওন নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হয়। বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে আসামি (ইভার প্রেমিক) নাজমুল মাহমুদ পলাশ ১৫ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর এলাকার একটি পার্লার থেকে বিয়ের সাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করেন।

পরবর্তীতে তাকে জোর করে ওই রাতেই বিয়ে করেন এবং রাতেই তাকে তার বাড়িতে ফেলে রেখে যান। ইভার পরিবার ব্যাপারটি জানতে পেরে এই বিয়ে মেনে নেন এবং আগের বিয়ে ভেঙে দেন। কিন্তু আসামি ইভাকে গ্রহণ করতে আর রাজি হননি। ফলে ইভা ও তার পরিবার সামাজিকভাবে হয়রানির শিকার হন।

মেধাবী শিক্ষার্থী ইভা এ অপমান সহ্য করতে না পেরে ১৯ জানুয়ারি রাতে তার বাবার হাইপার টেনশনের ওষুধ অতিমাত্রায় সেবন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জানুয়ারি ভোরে তিনি মারা যান।

পরবর্তীতে ইভার মামা আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের ওপর ন্যাস্ত করলে পিবিআই তদন্ত করে ৬ জন আসামির নামে চার্জশিট প্রদান করে। গত ৩ জুলাই রাজশাহীর নারী ও শিশু নির‍্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ থেকে মোট ৬ জন আসামির নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

ইভার পরিবারের অভিযোগ, গ্রেফতারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত ৬ জন আসামির মধ্যে ৫ জনই আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে ইভার পরিবারকে আরও হেয় প্রতিপন্ন করেন। উক্ত ঘটনা র‍্যাব-৫ সিপিএসসি টিমের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে সিপিএসসি টিম তার গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। পরবর্তীতে র‍্যাব-১১, হেড কো. ও র‍্যাব-৫ সিপিএসসি এর যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড থেকে প্রধান আসামি পলাশকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।