যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র জাপান: ফুমিও কিশিদা

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ সোমবার এ তথ্য জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র জাপান: ফুমিও কিশিদা
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে জাপান: ফুমিও কিশিদা

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে যাচ্ছে জাপান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ সোমবার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, চীনসহ অন্যান্য দেশের হুমকির বিষয়টি মাথায় রেখে দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হচ্ছে। টমাহক সব ধরনের আবহাওয়ায় ব্যবহার উপযোগী মাঝারি পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ডাইন্যামিক্স করপোরেশন ১৯৭০ সালে এটি প্রথম নির্মাণ করে। এটির নকশা করা হয়েছিল স্বল্প উচ্চতায় ব্যবহার উপযোগী মাঝারি থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে, যা ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। 

কিশিদা নিম্নকক্ষের বাজেট কমিটিকে বলেন, আমাদের ৪০০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা আছে। তবে সামরিক কেনাকাটার ক্ষেত্রটি স্পর্শকাতর হওয়ায় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি। এ মাসের শুরুর দিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, কয়েক বছর ধরে ভাগে ভাগে না কিনে বরং আগামী অর্থবছরেই জাপান ক্ষেপণাস্ত্র কেনা বাবদ ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।

কিশিদার সরকার চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি এবং পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ উত্তর কোরিয়ার অপ্রত্যাশিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মুখে নিজেদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে চীনকে ঘিরে। মনে করা হচ্ছে, চীন তার মূল খণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করতে একই ধরনের হামলা চালাতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান শান্তিবাদী সংবিধান প্রণয়ন করে। সেখানে সামরিক ক্ষমতাকে স্পষ্টতই প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।

কিন্তু গত বছর জাপান তাদের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষানীতি হালনাগাদ করে। সেখানে স্পষ্টভাবে চীনের উত্থাপিত চ্যালেঞ্জের রূপরেখা তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি ২০২৭ সাল নাগাদ তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে, যা তাদের জিডিপির ২ শতাংশ হবে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো তাদের জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে। এএফপি

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: