খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে: ডা: জাহিদ
রাত সোয়া ৭টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন রাত সোয়া ৮টায় বাসায় ফেরেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাতে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। রাত সোয়া ৭টায় এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন রাত সোয়া ৮টায় বাসায় ফেরেন। বিকাল সোয়া ৪টায় গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। দুই ঘন্টা সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বাসায় পৌঁছান রাত ৮টা ২২ মিনিটে।
‘ফিরোজা’র গেইটের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিঙে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিতসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে মেডিকেল বোর্ডের চিকিতসকদের পরামর্শক্রমে এ্ভারকেয়ার হাসপা্তালে ম্যাডাম গিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ধরনে যেসব পরীক্ষা করা দরকার সেগুলো করা হয়েছে। ওই পরীক্ষার রিপোর্ট কালকে নাগাদ পাওয়া যেতে পারে।” ‘‘ তারপরে চিকিতসকরা বসে পরবর্তিতে ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।” তিনি জানান বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। উন্নত বিশেষায়িত হাসপাতাল ছাড়া তাঁর পরিপূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব নয়। সেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।
বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘ উনি আগের মতোই আছেন। শারীরিক অবস্থা পূর্বের ন্যায় আছে। অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয় নাই।” এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল চিকিতসকের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিতসাধীন আছেন। সর্বশেষ গতবছরের ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতাল খালেদা জিয়ার হৃদপিন্ডের ব্লক অপসাররণ করে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছিলো।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদপিন্ডে জটিলতা, ফুসফুস, চোখ ও দাঁতের নানা সমস্যায় ভুগছেন। এজন্য ২০২১ সালের এপ্রিলে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতা নিয়ে তাকে ৬ বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিতসা নিতে হয়েছে।এদিকে, বেগম খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়ার খবরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফিরোজা এবং এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ভিড় করেন। এ সময় উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আফরোজা খান রিতা, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবি-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন,যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু,বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।