মাইলস্টোন শিক্ষিকা মাসুকার দাফন সম্পন্ন

মাইলস্টোন শিক্ষিকা মাসুকার দাফন সম্পন্ন

প্রথম নিউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিহত শিক্ষিকা মাসুকা বেগম নিপুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার বাদ আসর আশুগঞ্জ সোহাগপুর ঈদগাহে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।  নিহত শিক্ষিকা মাসুকা বেগম নিপু সদর উপজেলার চিলোকুট গ্রামের সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরীর মেয়ে।

স্বজনরা জানান, শিক্ষিকা মাসুকা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা ভার্সনের ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে অবস্থান করছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। সেখানে রাত সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।

মাসুকার বোনের মেয়ে ফাহমিদা খানম হৃদি জানান, আমরা খালামণির মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়েছি। মহান আল্লাহ যেন আমার খালামণিকে জান্নাত নসিব করেন। দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চাই।

মাসুকার বাবা সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। আমি আর বেশি কিছু কথা বলতে পারছি না। আমি সবার কাছে আমার মেয়ের জন্য দোয়া চাই।

বোনজামাই খলিলুর রহমান জানান, মাসুকা খুব বিনয়ী এবং ভদ্র ছিলেন। তার আকস্মিক এ মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুক।

ভৈরব জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু হানিফা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে মাসুকা আমার আদরের ছাত্রী ছিলেন। শিক্ষাজীবনে মাসুকা অত্যন্ত বিনয়ী এবং মেধাবী ছিলেন। তার জানাজা পড়তে হবে, সেটা কখনো ভাবিনি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহজাহান সিরাজ জানান, এ দুর্ঘটনায় সারা দেশ স্তব্ধ। আমরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমাদের দলের প্রধান তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতের পরিবার পরিজনকে গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ যেন পরিবারটিকে শোক সহ্য করার তৌফিক দান করেন।

শিক্ষিকা মাসুকা পরিবারে দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অবিবাহিত।