বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত: বাধ্যতামূলক হচ্ছে ডোপ টেস্ট
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিধিমালার আওতায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশ, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি এবং গাড়ি চালকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। নীতিমালা চূড়ান্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নীতিমালা করার বিষয়ে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেন, ‘সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ডোপ টেস্ট বিধিমালাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। ভেটিং শেষ হলে বিধিমালা প্রকাশ করা হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বৈঠকে দেশব্যাপী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরও গতিশীল ও জোরদার করতে বিএসটিআইয়ের আদলে ডোপ টেস্ট (বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা) করার জন্য একটি আলাদা প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ গঠনের সুপারিশও করে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট চালু করার সুপারিশ করে কমিটি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডোপ টেস্ট চালু করতে নীতিগত অনুমোদন দেন। প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর পুলিশের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য গ্রহণের অভিযোগ উঠলে ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ডোপ টেস্টে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পুলিশের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর জানায়, নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই একটি শাখা বর্তমানে সীমিত পরিসরে ডোপ টেস্টের কাজ করছে। ডোপ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় যথাযথভাবে তা হচ্ছে না।
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এবং দুর্ঘটনা রোধে ২০১৯ সালে ১১১টি সুপারিশ দেয় জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল। ওই সুপারিশে দক্ষ চালক তৈরি এবং তাদের ডোপ টেস্ট নিশ্চিত করতে বলা হয়। বিধিমালা না থাকায় গত দুই বছরেও এই সুপারিশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।
সড়ক নিরাপদ রাখতে গত বছর ২২ অক্টোবর চালকদের ডোপ টেস্ট করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। বিআরটিএ জানায়, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ডোপ টেস্ট চালুর কথা বললেও এখনও চালু করা হয়নি।