‘বিএনপি শর্ত না দিলে সংলাপ নিয়ে ভাবা যাবে’
গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মেনে নেয়ার যে শর্ত বিএনপি দিয়েছে, তা প্রত্যাহার করলে সংলাপ নিয়ে ভাবা যাবে। শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। শর্ত তারা প্রত্যাহার করলে দেখা যাবে। অন্য বিষয় নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, ওগুলো নিয়ে আমরা সবাই একমত। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল।
ওদিকে গত ১১ই অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অবশ্যই সরকারকে আগে ঘোষণা দিতে হবে যে, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নেবো। এবার আসো নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের বিষয় কথা বলি কীভাবে হতে পারে। বাট সি (প্রধানমন্ত্রী) মাস্ট রিজাইন।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তারা কার সঙ্গে আলোচনা করবে? রাষ্ট্রপতি আলোচনা করতে চেয়েছেন, তারা রিজেক্ট করেছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দুইবার আলোচনার প্রস্তাব তারা খারিজ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে ওই সরকারের আকার কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারেননি তিনি। বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে যেভাবে ছিল ওটাই নির্বাচনকালীন সরকার।
এটা শেখ হাসিনার এখতিয়ার। তিনি যদি মনে করেন মন্ত্রিসভা ছোট করার দরকার বা যেভাবে আছে সেভাবে থাকা দরকার এটা তার এখতিয়ার। এখনই এই আলাপ করার সময় না। নির্বাচনকালীন সরকারের আলোচনা কবে শুরু হতে পারে, এ প্রশ্নে কাদের বলেন, তফসিল ঘোষণা হলে হবে।
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন খুব শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হয়ে যাবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তখন কোনো উদ্বোধন আমরা করতে পারবো না, সরকারের কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরুও করতে পারবো না। তখন আমরা জাস্ট রুটিন ওয়ার্ক করবো। সরকারে আছি। মন্ত্রীর রুটিন ওয়ার্ক আছে, প্রধানমন্ত্রীর রুটিন ওয়ার্ক আছে।
সে সময় নির্বাচন সম্পর্কিত সবকিছু নির্বাচন কমিশন নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন তাদের যা যা ডিমান্ড, সংবিধান অনুযায়ী আমরা তাদেরকে সে সহায়তা করতে বাধ্য।