নির্বাচনের ফল নির্ধারিত হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের টেবিল থেকে : ড. মঈন খান

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের ফল নির্ধারিত হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের টেবিল থেকে : ড. মঈন খান

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচনই হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তার দাবি, ভোটের ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে ঢাকার একটি উচ্চ পর্যায়ের টেবিল থেকে। কে কত ভোট পাবে, কে নির্বাচিত হবে সবই সেখান থেকে এসেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মঈন খান বলেন, ২৮ অক্টোবর ক্র্যাকডাউন করে সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিস বেদখল করে নিয়েছিল। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ মৃত। গণতন্ত্রের জন্য লাখ লাখ মানুষ নিজেদের রক্ত দিয়েছে। এ অবস্থার জন্য নয়।

৭ জানুয়ারি জনগণ শুধু ভোটবর্জন করেনি, আওয়ামী লীগ সরকারকেও বর্জন করেছে বলে মন্তব্য করে ড. মঈন খান বলেন, যদি ঘরে বসে থাকতাম, তাহলে বিএনপির ২৬ হাজার নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হতো না। জনগণের শক্তি দিয়ে আমরা বুলেটের শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না- এটা প্রমাণিত। ভুয়া সাজানো নির্বাচনী আবহ সৃষ্টি করে দেশে-বিদেশে সরকার ভাওতা দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। তাই দেশের মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি’র আন্দোলন চলমান থাকবে। শান্তিপূর্ণ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো, এই হোক আজকের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে। এ দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জন করে সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলেছে এ নির্বাচন কারচুপি হয়েছে এবং সুষ্ঠু হয়নি। অনেক সংস্থা বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে হয়নি।

বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি, থাকব। বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের অধিকার আদায়ে রাজনীতি করি। ভবিষ্যতে আমরা এমন একটা ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করব, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, ফজলুর রহমান, মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব রহমান খোকন প্রমুখ।