রাশিয়া ব্যর্থ হবে, ইউক্রেনই জিতবে: ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন

রাশিয়া ব্যর্থ হবে, ইউক্রেনই জিতবে: ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশন

প্রথম নিউজ ডেস্ক: আজ (২৪ আগস্ট) পূর্ব ইউরোপের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস।। ১৯৯১ সালের এই দিনে রুশ নেতৃত্বাধীন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল ইউক্রেন। সে হিসেবে দেশটি স্বাধীনতা অর্জনের ৩২ বছর উদযাপন করছে। ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া। সে হিসেবে এ বছর ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস এমন এক তারিখে যেদিন দেশটিতে রাশিয়ার হামলার দেড় বছর পূর্ণ হয়েছে।

এদিকে, বিশেষ এই দিনটিকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনের প্রতি নিজেদের সংহতি ও সমবেদনা প্রকাশ করছে বিভিন্ন দেশের ঢাকাস্থ দূতাবাসগুলো। ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে গতকাল (বুধবার) ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনকে ইউক্রেনের পতাকার রঙে (নীল-হলুদ) আলোকিত করা হয়।

রাশিয়ার এই আগ্রাসন কেবল ইউক্রেনের জন্যই হুমকি নয় মন্তব্য করে হাইকমিশন বলছেঃ বন্দর এবং খাদ্য গুদামগুলোতে রাশিয়ার আক্রমণ এবং ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ থেকে (নিজেদের) প্রত্যাহার করে নেওয়া বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা এবং দ্রব্যমূল্য ক্রমাগতভাবে বেড়ে যাওয়ার উপর প্রভাব ফেলছে। এগুলো সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের কষ্টের কারণ হচ্ছে। ইউক্রেনের প্রতি বিশ্বের প্রতিশ্রুতিকে অবমূল্যায়ন করেছেন পুতিন। কেবল ইউক্রেনের ভবিষ্যতই ঝুঁকির মুখে নয়; জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইন, সমর্থন করা দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতাও ঝুঁকিতে। ইউক্রেন জিতবে এবং যতদিন প্রয়োজন আমরা তাদের পাশে থাকব।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৃটিশ হাইমকমিশন লিখেছেঃ রাশিয়ার বেআইনি পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসনের ফলে ইউক্রেনের ঐক্য এখন সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।

ওদিকে, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস নিজেদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে লিখেছে, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে স্বীকৃত প্রতীক হয়ে উঠেছে ইউক্রেন। একে অবৈধ আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজেদের সংগ্রামে ইউক্রেনীয় জনগণের ঐক্য এবং অধ্যবসায়ের প্রতিফলন আখ্যা দিয়ে দূতাবাসের মন্তব্যঃ আগ্রাসনের শুরু থেকেই ইউক্রেনের জনগণ স্বাধীনতার প্রতি অসাধারণ সাহস এবং নিষ্ঠা দেখিয়েছে।

বৃটিশ হাইকমিশন এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ছাড়াও ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাস বিশেষ করে পশ্চিমা দেশসমূহের দূতাবাসগুলো ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রতি নিজেদের সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে।