প্রবীণরাও নিতে পারেন নেক্সট জেনারেশন জবের প্রস্তুতি,সবিশেষ
প্রথম নিউজ, অনলাইন : হালের বিশ্বটা রীতিমতো প্রযুক্তিনির্ভর। অটোমেটিক গাড়িতে বসে স্টিয়ারিং ছেড়েই আপনি কফি বানিয়ে পান করতে পারছেন। টেলিগ্রাম অপারেটর হওয়ার চিন্তা এ প্রজন্মের নেই। কিন্তু পৃথিবীতে দক্ষতার আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং দক্ষতার জোরেই মানুষ অন্য পেশায় নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।
নতুন নতুন পেশা তৈরি হচ্ছে এবং হতে থাকবে। তাই বলে পুরনোদের হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। প্রবীণরা হয়তো ভিডিও টেপে ফিল্ম উপভোগ করতেন, আর নতুন প্রজন্ম মোবাইলেই ব্লকবাস্টার মুভি এনজয় করছে।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন বিশ্ব পরিস্থিতিতে ভড়কে না গিয়ে নতুন পেশার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাটাই মূল কথা।
এ চেষ্টাই মানুষকে শুধু সফলতার পথ দেখাবে না, নিজেকেও নতুন করে আবিষ্কারের পথ খুলে দেবে। সমাজবিজ্ঞানীরা আশার বাণী শুনিয়ে বলছেন, আমাদের এই গ্রহে হালে ওয়েল্ডার থেকে শেফে পরিণত হওয়ার হাজার হাজার উদাহরণ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, কোনো কিছু শেখার জন্য বয়স খুব বড়মাপের বাধা নয়। মানুষ ইচ্ছা করলেই নতুন পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।
নতুন প্রজন্ম নতুন নতুন পেশার সঙ্গে সহজে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। নতুন পেশার মনোভূমি তাদের শিক্ষাজীবনেই রচিত হয়ে যায়। কিন্তু নতুন প্রজন্মের পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পুরনোদের বেশ বেগ পেতে হয়। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে নেক্সট জেনারেশন জবের প্রস্তুতি নেওয়ার সাহস মনে ধারণ করতে পারলেই প্রবীণরাও ধীরে ধীরে নতুন প্রজন্মের পেশার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন। সমাজবিজ্ঞানীদের ভাষায়, ‘মানুষের উদ্ভাবনী মেধার সম্ভাবনা খুবই ব্যাপক।
মানুষ এখন আর প্রস্তর যুগে ফিরে যেতে পারে না। জ্ঞানই শক্তি এবং আকাশই তার শেষ সীমা।
সূত্র : খালিজ টাইমস