বৃটিশ পার্লামেন্টে নিষিদ্ধ চীনা রাষ্ট্রদূত

বৃটিশ পার্লামেন্টে নিষিদ্ধ চীনা রাষ্ট্রদূত

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: বৃটিশ পার্লামেন্টে নিষিদ্ধ করা হয়েছে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝেং জিগুয়াং’কে। চীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন- এমন অভিযোগে বৃটেনের পাঁচজন এমপি এবং দু’জন পিয়ারের বিরুদ্ধে এর আগে নিষেধাজ্ঞা দেয় চীন। এর প্রতিবাদে চীনের রাষ্ট্রদূতকে বৃটিশ পার্লামেন্ট থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, যতক্ষণ ওই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে, ততক্ষণ তিনি পার্লামেন্টের অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না। আজ বুধবার পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে চীন ইস্যুতে সর্বদলীয় অধিবেশন আহবান করা হয়েছে। তাতে যোগ দেয়ার কথা ছিল চীনা রাষ্ট্রদূত ঝেং জিগুয়াংয়ের। কিন্তু এর প্রতিবাদ হয় জোরালো। ফলে স্পিকার স্যার লিন্ডসে হোয়েল এবং লর্ড স্পিকার লর্ড ম্যাকফল রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি প্রত্যাখ্যান করেন। তবে বৃটেনের এই সিদ্ধান্তকে নিন্দনীয় এবং কাপুরুষোচিত বলে অভিহিত করেছে চীনা দূতাবাস।
তারা বলেছে, এ সিদ্ধান্তে দুই দেশেরই স্বার্থের ক্ষতি হবে।
দুই দেশের সরকারের মধ্যে উত্তেজনা যে সময়ে তুঙ্গে, সে সময়েই এ নিষেধাজ্ঞা এলো। এতে পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, চীনের সিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বৃটেন প্রথম নিষেধাজ্ঞা বা অবরোধ আরোপ করে। এর জবাবে চীনের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে বৃটিশ ৫ এমপি এবং ২ জন পিয়ারের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেয় চীন।
চীনে নিষিদ্ধ ৫ এমপি হলেন ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ দলের স্যার ইয়ান ডানকান স্মিথ, টম তুগেন্ধাত, নুসরাত গণি, নেইল ও’ব্রায়েন এবং টিম লাফটন। তারা নিজেদের উদ্বেগের বিষয়ে স্পিকারের কাছে লিখেছিলেন। অন্যদিকে উদ্বেগের বিষয়ে লর্ড স্পিকারের কাছে লিখেছেন লর্ড অ্যালটন এবং ব্যারোনেস কেনেডি। এতে তারা বলেছেন, চীন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা শুধুই সদস্যদের সরাসরি টার্গেট করে হামলা নয়, একই সঙ্গে এতে পার্লামেন্ট, পার্লামেন্টের সব সদস্য, সিলেক্ট কমিটিকে টার্গেট করে করা হয়েছে। আমাদের প্লাটফরমকে ব্যবহার করে এমন নিষেধাজ্ঞার বৈধতা দিতে এবং অনুমোদন দিতে পারি না।