বাংলাদেশি ক্রেতা না থাকায় বিমর্ষ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশি ক্রেতা না থাকায় বিমর্ষ ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

প্রথম নিউজ, ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক পথে পণ্য আসা যাওয়ার ব্যবস্থা শুরু হওয়াতে খুশি ভারতীয় শাড়ি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, তাঁরা বিমর্ষ বাংলাদেশি ক্রেতা না থাকায়। বেনারসি কুঠি, আদি মোহিনীমোহন কাঞ্জিলাল, ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়, সাহা টেক্সটাইলস কিংবা পার্ক স্ট্রিটের অপ্সরা - কিন্নরীরা বলছে, অবিলম্বে টুরিস্ট ভিসা চালু করা হোক পুজোর আগেই এবং ভারতীয় শাড়ির বাজার ভরে উঠুক বাংলাদেশি ক্রেতায়। যদিও বাংলাদেশের বিখ্যাত জামদানি শাড়ির সরবরাহ এখন কম। করোনা জামদানি শিল্পীদের কোমর ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু, ভারতীয় বাজারে বিশেষ করে বাংলায় নিয়মিত আসছে পাবনার শাহাদাতপুর, বল্লা, টাঙ্গাইল, পাকরাইল থেকে তাঁতের শাড়ির পসরা। ভারতের বিষ্ণুপুরের বালুচরি, ফুলিয়ার তাঁতের শাড়ি নিয়মিত যাচ্ছে বাংলাদেশে। সাহা টেক্সটাইলস এর কর্ণধার কান্তি সাহা বললেন, বাংলাদেশ থেকে আমদানি কিংবা রপ্তানি শুরু হলেও সেখানকার ক্রেতা না থাকায় শাড়ির ব্যবসা মার খাচ্ছে।
কলেজ স্ট্রিট এর বেনারসি ব্যবসায়ীরা সারা বছর বাংলাদেশি ক্রেতা পেতেন ৪৫ শতাংশ। করোনা কালে বন্ধ থাকায় ব্যবসাতে টান পড়েছে তা মানছেন শাড়ি ব্যবসায়ীরা। নিউ মার্কেট, পার্ক স্ট্রিটে আবার বেশিরভাগই হতেন বাংলাদেশের ক্রেতারা। নিউ মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ী পবন আগারওয়াল এর বক্তব্য, পুজো এবং ঈদ- এই দুটো মৌসুমেই শাড়ির ভালো ব্যবসা হত বাংলাদেশের ক্রেতাদের জন্য। শাড়ি ব্যাবসায়ীরা আশায় বুক বাঁধছেন যে, পুজোর আগেই হয়তো টুরিস্ট ভিসা চালু হবে। কলকাতার শাড়ির বাজার আবার ভরে উঠবে বাংলাদেশের ক্রেতাদের কলতানে।