বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের ও ডিবি হারুনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
![বেনজীরের স্ত্রী-মেয়ের ও ডিবি হারুনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ](https://prothom.news/uploads/images/2025/01/image_750x_677f4078615ce.jpg)
প্রথম নিউজ, অনলাইন : পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জা এবং তাঁর ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
এদিন দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তাঁদের আয়কর নথি জব্দ চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন।
পরে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেন।
জীশান মীর্জার আবেদনে বলা হয়, তিনি মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ১৬ কোটি এক লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে এবং ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারার এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জীশান মির্জাকে এসব অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তাহসীন রাইসা পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারার এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাহসীন রাইসাকে অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
ডিবি হারুনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
দুদকের করা মামলায় সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এবং তাঁর ভাই এ বি এম শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন আয়কর নথি জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রহুল ইসলাম খান শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই আবেদন মঞ্জুর করেন।
হারুনের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
শাহারিয়ারের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, আসামি এ বি এম শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।