নাটোরে মাদরাসাছাত্রীকে গণধর্ষণ : আটক ৫
নাটোরে আটজন মিলে দশম শ্রেণীর এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে নাটোর থানা পুলিশ।
প্রথম নিউজ, নাটোর : নাটোরে দশম শ্রেণীর এক মাদরাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে নাটোর থানা পুলিশ। অপর তিনজন পলাতক রয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম মাধনগর গ্রামের দিনমজুরকন্যা এক মাদরাসাছাত্রী বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে মাদরাসা থেকে ফিরে নতুন পোশাকের জন্য মায়ের সাথে বায়না ধরে। মা নতুন পোশাক দিতে পারবে না জানালে তার সাথে বির্তকের এক পর্যায়ে সে নাটোর সদরের আগদিঘা গ্রামে নানীর বাড়ি যাবে বলে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে এ সময় তার সাথে নানা বাড়ি এলাকার মাঝদিঘা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শহিদুল ইসলাম মেয়েটিকে নিয়ে সন্দেহজনকভাবে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে। বিষয়টি এলাকার অনেকের নজরে আসে।
এ সময় স্থানীয় ছাতনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল সরকার স্থানীয় ইউপি সদস্য মহসিন আলীকে মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য বলেন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের আর পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে পুলিশের নজরে আনে এলাকাবাসী। অভিযানে নামে নাটোর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। রাত আড়াইটার দিকে ভাটপাড়া শ্মশানঘাটের মাঝামাঝি এলাকায় জহির মন্ডলের লেবু বাগানে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্তরা সবাই মিলে ধর্ষণ করার সময় মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসময় আটজনের মধ্যে মাঝদিঘা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৪), ছাতনী দিয়ারপাড়া গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮), মোকছেদ আলীর ছেলে কাজল (২৫), জলিল মন্ডলের ছেলে মো: আমিনুর (৪৫), মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে আস্তুল হোসেনকে (৩৮) আটক করেছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: