Ad0111

বাবুল-মিতুর সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে চায় পিবিআই

আগামী রোববার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বাবুল-মিতুর সন্তানদের সঙ্গে কথা বলতে চায় পিবিআই
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাদের দুই সন্তানের সঙ্গে কথা বলতে চায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুই সন্তান খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী উল্লেখ করে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আদালতে আবেদন করেছে পিবিআই। আবেদনের ওপর আগামী রোববার (১৬ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৭ এ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ শুক্রবার মামলার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, বাবুল আক্তারের দুই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে কথা বলার জন্য সম্প্রতি আদালতে একটি আবেদন করেছি। এ খুনের ঘটনায় ছেলে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে থাকলেও এখন পর্যন্ত তার কোনো বক্তব্য নেওয়া হয়নি, তার সঙ্গে কথা বলা হয়নি। এছাড়া তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। তদন্ত প্রক্রিয়া অংশ হিসেবে ও মামলার রহস্য উদঘাটনে তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। তাই তাদের সঙ্গে কথা বলতে আদালতে আবেদন করেছি। আদালতের আদেশ পাওয়া গেলে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার ও মিতুর বাবা বাদী হয়ে পৃথক সময়ে দুইটি মামলা করেন পাঁচলাইশ থানায়। এ দুইটি মামলা তদন্ত করছেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

পিবিআই বলছে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে মিতু হত্যা মামলার আসামি এহতেশামুল হক ভোলা বলেছিলেন, সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের নির্দেশেই তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল। মিতুকে হত্যা না করলে কামরুল শিকদার ওরফে মুছাকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার ভয় দেখান বাবুল আক্তার। মিতুকে হত্যা করার জন্য মুছাকে টাকাও দিয়েছিলেন বাবুল আক্তার।

উল্লেখ্য, মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ওই মামলায় গত বছরের ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের একটি আদালত তাকেই গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।সে সময় বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেছিলেন, একই ঘটনায় মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল। এ ঘটনায় দুই মামলা আদালতে চলতে পারে না। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাব।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তার যে মামলাটি দায়ের করেছিলেন, সেটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল পিবিআই। কিন্তু আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন না নিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মিতুর বাবার করা মামলাটিও তদন্ত করছে পিবিআই।

স্ত্রী খুন হওয়ার আগে চট্টগ্রাম নগরীর জিএইসি এলাকায় ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির ও মেয়ে তাবাসসুমকে নিয়ে থাকতেন বাবুল দম্পতি। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহিরকে  স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি। এ মামলাতেই এখন তাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news