চীনে কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১১
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সীমান্ত থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের পূর্বে শুয়াংআশান শহরের একটি খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভি বলছে, ‘‘প্রাথমিকভাবে স্থল চাপের প্রভাবে খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’’
চীনা এই সংবাদমাধ্যম বলছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিট পর্যন্ত খনি থেকে ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই দুর্ঘটনায় খনিতে আরও কেউ নিখোঁজ কিংবা আহত হয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শুয়াংআশান শহরের অন্যতম প্রধান শিল্প খাত কয়লা উৎপাদন। শহরটিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাপমাত্রা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে।
গত কয়েক দশকে চীনে খনি নিরাপত্তায় বেশ উন্নতি ঘটেছে। অতীতে দেশটিতে খনি দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে তেমন আসতো না। দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে দেশটির এই শিল্প খাতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক খনিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে গুরুত্বও দেওয়া হয় না।
চীনের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর দেশটির খনি শিল্পের ১৬৮টি দুর্ঘটনায় ২৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের গুইঝো প্রদেশের একটি কয়লা খনিতে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে।
ফেব্রুয়ারিতে চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলে একটি কয়লা খনিতে ধসের ঘটনা ঘটে। এতে খনির কাজে নিয়োজিত কয়েক ডজন শ্রমিক ও যানবাহন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে। এই দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন, সেই বিষয়ে কয়েক মাস ধরে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে গত জুনে এই খনি দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।