কলেজে ছাত্রলীগে যোগ দিতে জুনিয়রকে চাপ, সংঘর্ষে আহত ১২
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে পৌরশহরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সরকারি ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে সদ্য ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাতে পৌরশহরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন ইমরান হোসেন হিমেল, শাহাদৎ হোসেন তাজ, সীমান্ত, সুফিয়ান কাউসার অপূর্ব, ইমরান হোসেন, রাজন ও তারেক।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সরকারি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির সদ্য ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন হিমেল এবং শাহাদাৎ হোসেন তাজকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে আজমিরীগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ও পৌরসভার নগর গ্রামের ফয়সল মিয়ার পুত্র ফাহিম আহমেদ ইমন একাদশ শ্রেণিতে সদ্য ভর্তিকৃত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগে যোগ দিতে বলে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে পরে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানায়। এ নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইমনের সঙ্গে পৌরসভার শরীফ নগরের বাসিন্দা নবী হোসেনের পুত্র একাদশ শ্রেণির সদ্য ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী অপূর্ব একই এলাকার হিমেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়।
বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ইমন তাদের বেধড়ক মারধর করে। এ সময় কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উভয়পক্ষের পরিবারে বিষয়টি জানানো হয়। এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় রাত ৯টায় সালিশে বিষয়টি মীমাংসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু রাত সাড়ে ৭টায় ইমনের মামাতো ভাই তারেক কাটবাজার এলাকায় গেলে হিমেল ও অপূর্বের বন্ধুরা তাকে মারধর করে। এরই জের ধরে রাত আনুমানিক ৮টায় ইমনের পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পৌর শহরের মধ্যবাজারে হিমেল, অপূর্ব, স্বজন ও সৌরভের বাসায় হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পৌর শহরের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর শাহাদাৎ হোসেন ও তার স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে ইমনের স্বজনরা তাদের ওপর পুনরায় হামলা চালায়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, ‘আমি জেলায় মিটিংয়ে আছি। দিনে কলেজে দু’গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে রাতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।’