ছাত্রশিবিরকে জড়ানো শাহবাগী রাজনীতি: সাদিক কায়েম ,এনসিটিবিতে সংঘর্ষ

ছাত্রশিবিরকে জড়ানো শাহবাগী রাজনীতি: সাদিক কায়েম ,এনসিটিবিতে সংঘর্ষ

প্রথম নিউজ, অনলাইন :   পাঠ্যবইয়ে ‌‘আদিবাসী’ শব্দ রাখা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও সংঘর্ষের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রশিবির ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম। একই সঙ্গে এ হামলার ঘটনায় শিবিরকে দায়ী করায় ক্ষুব্ধ তিনি। জড়িতদের গ্রেফতার না করে ট্যাগিং রাজনীতি চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি হামলার নিন্দা ও ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরেন।

ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম লিখেন, ‘এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিকে ঘিরে যে হামলা সংঘটিত হয়েছে তার নিন্দা জানাই। পাঠ্যবইয়ের মধ্যে যদি কোনো বিতর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাহলে সেটা গঠনমূলকভাবে সমাধান করা যায়। ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ল্যাশ করা সুস্থ প্রতিবাদের অংশ নয়। আমরা অতিসত্বর হামলাকারীদের বিচার চাই। পুলিশ-প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা অত্যাবশ্যক।’

তিনি আরও লিখেন, ‘আরেকটা গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পূর্বাপর ট্যাগিং কালচারে মত্ত হয়েছে। সত্যাসত্য যাচাই না করেই ব্লেইম দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ছবি, ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে হামলাকারী কারা, যারা হামলায় জড়িয়েছে সে সংগঠনটির নেতা কারা। অথচ হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার না করে সংগঠনটির নেতাদের জবাবদিহির আওতায় না এনে, ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার যারা করছেন তারা এটাই প্রমাণ করছেন যে আদতে তারা ইনসাফ চান না বরং তারা চান ছাত্রশিবির দমনের শাহবাগী রাজনীতি।’

জানা গেছে, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।

এর প্রতিবাদে বুধবার বেলা ১১টায় পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। একই সময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি’ও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। একপর্যায়ে দুপুরে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

ঘটনার পর স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি দাবি করেছে, ‘তাদের ওপর হামলা হয়েছে’। অন্যদিকে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্ররা দাবি করেছেন, ‘পরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে’।

এদিকে, এ ঘটনায় শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনামূলক পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। বিশেষ করে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র সংসদ’-এর সাবেক সভাপতি শিবির নেতা সাদিক কায়েমকে দায়ী করা করছেন অনেকে। তারই প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান জানালেন এ শিবির নেতা।