ভয়াবহ ভূমিধস কেরালার ওয়ানাড়ে, এখনও পর্যন্ত ৬৩ জনের মৃত্যু
সোমবার রাত ১টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধসের খবর পাওয়া যায়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কেরলে প্রকৃতি যেন ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। প্রবল বৃষ্টিতে ওয়েনাড়ের পার্বত্য এলাকা মেপ্পাডিতে ধস নামে। বর্তমানে ভয়াবহ পরিস্থিতি কেরলের একাধিক জেলায়। কোথাও নদীতে ভাসছে মৃতদেহ, ভাঙা রাস্তা ও সেতু। কোথাও নিশ্চিহ্ন গ্রামের পর গ্রাম। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মর্মান্তিক এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উদ্ধারকাজে নামল দেশের সেনাবাহিনী। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সেনাবাহিনীকে আগেই নামানো হয়েছিল এবার নৌসেনা ও বায়ুসেনাকেও নামানো হল উদ্ধারকাজে। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই তরফেই যৌথভাবে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে বিমানে করে উদ্ধার করার পরিকল্পনা করছে সেনাবাহিনী।
সোমবার রাত ১টা নাগাদ মুন্ডাক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধসের খবর পাওয়া যায়। এর ঘণ্টা তিনেক পর ওই এলাকায় এক স্কুলের কাছে দ্বিতীয় ধস নামে। আশেপাশের বাড়ি ও দোকানের মধ্যে পানি কাদা ঢুকে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভেসে যায় একাধিক গাড়ি, ভেঙে গিয়েছে রাস্তা, সেতু।
এদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। বহু নদী দিয়ে ভেসে আসছে মৃতদেহ। মালাপ্পুরমের চালিয়ার নদী থেকে অন্তত ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও দেহ হয়তো ভেসে গিয়েছে, যা উদ্ধার করা যায়নি। বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার ভোরে ৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩টি বড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধসের কারণে শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুধু চুড়ামালাতেই ২০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর তরফে বলা হয়েছে, বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন, তবে এরই মধ্যে প্রায় ২৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্যোগকালে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে সম্ভাব্য সবরকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী । এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ওয়ানাডের সংসদ সদস্য রাহুল গান্ধী।
সূত্র : এএনআই