ব্যাংক খাতের সংকট কতটা গভীরে

২০২২ সালে ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে মাত্র ৫.৭ শতাংশ। ২০২১ সালেও ১০ শতাংশ হারে আমানত বেড়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের মধ্যে আমানতের প্রবৃদ্ধি অর্ধেকে নেমে এসেছে।

ব্যাংক খাতের সংকট কতটা গভীরে

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ব্যাংক খাতে গত ১১ বছরের মধ্যে আমানতের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২২ সালে। ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোতে আমানত বেড়েছে মাত্র ৫.৭ শতাংশ। ২০২১ সালেও ১০ শতাংশ হারে আমানত বেড়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের মধ্যে আমানতের প্রবৃদ্ধি অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০১৩ সালে আমানতে ১৬.০৮ শতাংশ এবং  তার আগের বছর ২০১২ সালে ২০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। শুধু আমানতের প্রবৃদ্ধিতে ধস নেমেছে এমনটি নয়— ব্যাংক খাতে পুনঃতফসিলকৃত ঋণের পরিমাণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

শ্রেণিকৃত ঋণ, মন্দ ঋণ (এনপিএল) ও অবলোপনসহ ব্যাংক খাতের বিভিন্ন সূচকের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণে তৈরি করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ দেশের ব্যাংক খাতের অভ্যন্তরে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। যা এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে অঙ্ক প্রকাশ করেছিল, তার তিন গুণেরও বেশি। উল্লেখ্য, আগের বছরের (২০২২) ডিসেম্বরের শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।  

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষে ব্যাংক খাতে মোট অনাদায়ী ঋণ ছিল ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের মোট পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। সেই হিসাবে মোট ঋণের চার ভাগের এক ভাগই ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২২ সালের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা, এছাড়া বকেয়া পুনঃতফসিল করা ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ও বকেয়া খেলাপি ঋণ রয়েছে আরও ৪৪ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা। প্রকৃত ও প্রকাশিত পরিমাণের মধ্যে এই তারতম্যের ফলে ব্যাংক খাতের নীতিগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, এর ফলে ব্যাংকগুলো নিজেদের ব্যালান্স শিটের কৃত্রিম উন্নতি দেখানোর সুযোগ পায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত চিত্র অনেকটাই ফুটে উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ব্যালান্স শিটের কৃত্রিম উন্নতি দেখিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবে না। যেভাবে  ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা দেওয়া হয়েছে,‌ সুদ মওকুফ করা হয়েছে, এই ধরনের চর্চা ব্যাংকিং খাতকে সংকটে ফেলে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আগে বলতাম, এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে। একথা সত্য ব্যাংক খাতে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। পুনঃতফসিল বাড়ার কারণে ব্যাংকের আদায় কমে যাচ্ছে। একজনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে তহবিল আটকে থাকছে। এতে বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘পুনঃতফসিল করা ঋণের তথ্যে এত বড় পার্থক্যের কারণ হতে পারে দুই কারণে। এক. গত বছর এক বা একাধিক ব্যাংক সঠিক তথ্য দেয়নি। দুই. পুনঃতফসিলিকরণের ক্লাসিফিকেশন বা ক্রাইটেরিয়াতে পরিবর্তন আনা হতে পারে।’

আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ‘কোনও ব্যাংক যদি মিস রিপোর্টিং করে থাকে, বা আগে ভুল তথ্য দিয়ে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেটা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশ করা উচিত।’ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ব্যাংক খাতে খেলাপির চেয়ে পুনঃতফসিল ঋণ বেশি।  ব্যাংকগুলো সর্বশেষ ২০২২ সালে ৬৩ হাজার ৭১৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। তা অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার ব্যাংকগুলো নিজেরাও পুনঃতফসিল করেছে। ফলে এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়নি। এরপরও গত বছরের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। পুনঃতফসিল করা ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হলে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশের কাছাকাছি হতো।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতার এই প্রতিবেদন ইঙ্গিত দিচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ না করার সুবাদে ব্যাংকের উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ নিয়েছেন। ব্যাংক থেকে তারা মুনাফা নিয়েছেন। কিন্তু ঋণের টাকা আদায় করতে পারেনি। অর্থাৎ আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে ব্যাংক খাতের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। আইএমএফের গাইডলাইন অনুসারে, পুনঃতফসিলিকৃত ঋণের পরিমাণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বেড়ে গেছে। গত দুই বছরে এগুলোর যে আনুষ্ঠানিক অঙ্ক প্রকাশ করা হয়েছিল, এই বৃদ্ধি তাও ছাড়িয়ে গেছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২২ সালের প্রান্তিক তথ্যানুসারে, দেশের ব্যাংকগুলোর পুনঃতফসিল করা ঋণের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। একই বছরের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিবেদনে উঠে আসে ভিন্ন চিত্র। সেখানে এর পরিমাণ ৬৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রকৃতভাবে পুনঃতফসিল করা ঋণ বেড়েছে ১৭৭ শতাংশের বেশি।  একই ধরনের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে ২০২১ সালেও। পুরনো হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছিল— ২০২১ সালে  পুনঃতফসিল করা ঋণের পরিমাণ ১২ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, কিন্তু আর্থিক স্থিতিশীলতার এই প্রতিবেদন উঠে আসে সেই পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৮১০ কোটি টাকা।

এদিকে গত বছরের শেষে পুনঃতফসিল করা ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা, যা ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। ফলে খেলাপি ঋণের চেয়ে পুনঃতফসিল করা ঋণ এখন বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ব্যাংক খাতে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের প্রতিবেদনে ওই বছরে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে মোট ঋণ ও অ্যাডভান্স ছিল ১৫.০৩ লাখ কোটি টাকা, যার বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.৫ শতাংশ। আর মোট আমানত ছিল ১৬.০৩ লাখ কোটি টাকা— যার বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৬ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকে টাকা এসেছে কম অথচ ব্যাংক থেকে টাকা বের হয়ে গেছে বেশি। ঋণের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতে ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনায় চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে বর্তমান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে তারল্য সংকটে ভুগছে বেশিরভাগ ব্যাংক। এক সময়ের সবচেয়ে বেশি আমানত জমা হওয়া ইসলামী ব্যাংকও এখন তারল্য সংকটে ভুগছে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, আমানতের ধীর প্রবৃদ্ধি ও ঋণ আদায়ের ধীর গতি ইত্যাদি কারণে বেশিরভাগ ব্যাংক তারল্য সংকটে ভুগছে। এতে করে ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এটি ব্যাংকগুলোকে কল মানি মার্কেটের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। কল মানি মার্কেট হলো একটি স্বল্পমেয়াদী অর্থ বাজার, এর মাধ্যমে সংকটে থাকা ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে।

আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মূলধন পর্যাপ্ততার হিসাবে ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অবস্থান সবার নিচে। ব্যাংকাররা বলছেন, ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর মূলধনের ভিত্তি শক্তিশালী হচ্ছে না। দেশের ব্যাংকগুলো গত বছর মূলধন পর্যাপ্ততার অনুপাত (সিএআর) ১১ দশমিক ৮৩ শতাংশ ধরে রেখেছে। সেখানে  পাকিস্তানের ব্যাংকগুলোর এই অনুপাত ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ, ভারতের ১৬ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। মূলধন ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের অনুপাত হিসাবে পরিচিত ‘সিএআর’ এমন সূচক— যা দিয়ে একটি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা তুলে হয়। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ১০ দশমিক ৮ শতাংশ সিএআর বজায় রেখেছিল। সে সময় শ্রীলঙ্কায় সিএআর ছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ ও ভারতে ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত মার্চে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এটি আগের বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ বেশি। ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ খেলাপি ঋণ। গত মার্চে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের সিএআর ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ৩ বিশেষায়িত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এটি নেতিবাচক ৩৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর বিপরীতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সিএআর ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর ছিল ৩১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মার্চ মাসের শেষে ১১ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দেখা দেয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৯৪ কোটি টাকা ঘাটতি আছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোনও ব্যাংকের মূলধন কমে গেলে সেই ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বেড়ে যায়। ব্যাংকগুলো ঋণের টাকা ফেরত এনে আবার বিনিয়োগ বা পুনর্বিনিয়োগ করতে পারছে না। অর্থাৎ ঋণের বড় একটি অংশ খেলাপিদের কাছে আটকে আছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানলেও কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছে না, এ কারণে সমস্যা দূর হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেতে ব্যাংকগুলোর ব্যালান্স শিটের দুর্বলতা কমানোর জন্য ‘বার্ষিক আর্থিক স্থিতিশীলতা প্রতিবেদনে’ পুনঃতফসিল করা ঋণের পাশাপাশি মন্দ ঋণের অঙ্ক তুলে ধরার একটি সময়নিষ্ঠ কৌশল নিতে রাজি হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া, ২০২৭ সাল নাগাদ ব্যাংক খাত যাতে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড-৯ (বা আইএফআরএস৯)  গ্রহণ করতে পারে, তারও একটি পরিকল্পনা তৈরিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের সম্পদ ও দায়ের মূল্যায়ন ও শ্রেণিকরণ করবে, তারই সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে আইএফআরএস৯- এ।