পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশে টাকা পাচার করতে সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : রিজভী

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশে টাকা পাচার করতে সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ গণমাধ্যমে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তা উল্লেখ করে তিনি বলেন তাদেরকে বলেছেন তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও স্ত্রী সন্তানরা সুখে থাকুক আর আমাকে তোমরা সহায়তা কর, আমি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ কর। বিচারকদের বলেছে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে এখন সাজা দেওয়ার জন্য । পুলিশ প্রশাসনকে বলেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দাও আটক করে জেলে পাঠাও।
আজ বৃহস্পতিবার নয়া পল্টন বিএনপির কার্যালয়ের নিচতলায় ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দদের উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিলে তিনি সব কথা বলেন। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহবায়ক শাহ নেছারুল হক। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুব বিষয়ক সহ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, বিএনপির   নির্বাহী কমিটির সদস্য হায়দার আলী লেলিন, আব্দুল মতিন,  আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সু চিকিৎসার জন্য, তাকে মুক্ত করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাস্তায় নামতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা মনুষত্বহীন অমানবিক নেত্রী। সকল সৈরাচারকে হার মানিয়েছেন তিনি।  শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ বিক্রির পায় তারা করছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া থাকলে সেটা তিনি তা পারবে না। তাই বেগম খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার নির্যাতন করছেন এবং চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না।

তিনি বলেন, প্রশাসনের ৫৮২ জন কর্মকর্তা বিদেশে টাকা পাচার করেছে সেখানে তাদের স্ত্রী পুত্রদেরকেও রেখেছে। পুলিশের ত্রিশ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাকা প্রচার করেছে এগুলো কি শেখ হাসিনা জানে না। আসলে তিনি এসব  কর্মকর্তাদের টাকা পাচার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তাদেরকে বলেছেন তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও স্ত্রী সন্তানরা সুখে থাকুক আর আমাকে সহায়তা কর, আমি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ কর।

তিনি বলেন এই সরকার সব কিছুর দাম বাড়িয়েছে। সারের দাম বাড়িয়েছে এর মধ্যে তিনটি সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক এতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তার পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তারা বিদেশে টাকা পাচার করুক তাদের স্ত্রী সন্তানরা ভালো থাকুক এটাই চায়। তিনি কৃষকদেরকেও ভালো চায়না দেশের জনগণেরও ভালো চায়না। বিএনপির মুখপাত্র বলেন ক্যাপাসিটি চার্চের নামে বিদুৃৃ্ ৎ খাত থেকে ১লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করার সুযোগ করে দিয়েছে সরকার।  এ টাকা জনগণের টাকা।

তিনি বলেন তুরস্ক থেকে পুলিশের জন্য ৯০ হাজার টিআর গ্যাস আমদানি করেছে কিসের জন্য প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, এদেশের জনগণের মুক্তির সংগ্রামে বাধা দেওয়ার জন্য, ধ্বংসত্ব কার্যক্রম করার জন্য দেশের জনগণের টাকা দিয়ে গুলি কিনছে এর গ্যাস কিনছে আর এগুলো ব্যবহার করবে বিএনপি'র নেতাকর্মীদের উপর। বিরোধী দল নিধনের জন্য। তিনি আইজিপি ও পুলিশ কমিশনকে প্রশ্ন রেখে বলেন আপনারাতো ২০০৫ সালেও পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সে সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারলো এখনতো হুমকি দেননি। এখন বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করতে অবাস্তব কথা বলে হুমকি দেন কেন?