নামফলক ভাঙা ঘিরে উত্তেজনা, হামলার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

নামফলক ভাঙা ঘিরে উত্তেজনা, হামলার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি ব্রিজের নামফলক ভাঙার ঘটনায় শরীফ উদ্দিন নামে এক যুবকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক লাইভে এসে নামফলক ভাঙার পরপরই ওই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। এ সময় হামলাকারীদের রোষানলে পড়ে আহত হন তার মা, বোনসহ পরিবারের আরও চারজন। রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা গ্রামের একটি ব্রিজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে । আহত শরীফ চরকাদিরা ইউনিয়নের রব বাজার এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে।

শরীফ উদ্দিনের দাবি, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন তার ওপর হামলার মূল হোতা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন শরীফ।
শুধু হামলাই নয়, অভিযোগ রয়েছে ঘটনার পর শরীফের বাড়ি ও দুটি দোকানঘরেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন শরীফের মা বিবি জহুরা, বোন রহিমা বেগম, চাচা মো. কবির ও মো. মালেক। বর্তমানে তার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরকাদিরা ইউনিয়নের ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত একটি ব্রিজ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নামকরণ ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। ব্রিজটি রব বাজার এলাকায় হলেও নামকরণ করা হয় ‘ইসলামগঞ্জ চরকাদিরা ব্রিজ’। এতে রব বাজারের বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। এই ক্ষোভ থেকেই শরীফ ফেসবুক লাইভে এসে ব্রিজের নামফলক ভাঙেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার বিকেলে হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এটি সম্পূর্ণভাবে একটি সাজানো নাটক। বরং আওয়ামী লীগের লোকজনই এতে জড়িত থাকতে পারে।
হামলার ঘটনার পর কমলনগর উপজেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দিদার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুই পক্ষই আমাদের দলীয় লোক। তাদের নিয়ে বসে শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। কেউ সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।