দাম বেড়েছে চাল-ডিম-সবজির

পেঁপে শুধু ৩০, ঢ্যাঁড়শ-পটল ৫০, চিচিঙ্গা কাকরোল-উস্তা-ঝিঙা ৬০, আর বরবটি-বেগুন ৮০ টাকা।

দাম বেড়েছে চাল-ডিম-সবজির
ফাইল ফটো

প্রথম নিউজ, ঢাকা: দাম কোনটা কত? ক্রেতার এ প্রশ্নের জবাবে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আজিজ মিয়া এক নিশ্বাসে বলে দিলেন- পেঁপে শুধু ৩০, ঢ্যাঁড়শ-পটল ৫০, চিচিঙ্গা কাকরোল-উস্তা-ঝিঙা ৬০, আর বরবটি-বেগুন ৮০ টাকা।

এসব সবজির দাম একশো পেরোয়নি? ক্রেতা আবার জানতে চাইলে আজিজ মিয়া মুখ উঁচিয়ে বলে দিলেন, টমেটো-গাজর ১২০ টাকা। নিলে নেন। দাম শুনে কোনো উত্তর না দিয়ে চলে গেলেন ওই ক্রেতা। এরপর এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হলো আজিজ মিয়ার।

তিনি জানান, কয়েকদিন সবজির দাম কিছুটা কম ছিল। হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার থেকে বেড়েছে দাম। বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম। এজন্য না কি পাইকারি বাজার থেকে মোটামুটি সব সবজি ৫-১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। আর তাই শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন আজিজ মিয়া।

শুধু সবজি নয়, শুক্রবার বাজারে দেখা গেছে চাল ও ডিমের দামও বেশি। মোটা-সরু সব চালের দামই বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২ টাকা বেড়ে স্বর্ণা ৫০-৫২ টাকা ও বিআর-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। অথচ আগে প্রতি কেজি গুটি স্বর্ণা ৪৮-৫০ টাকা ও বিআর-২৮ এর দাম ছিল ৫৮-৬০ টাকা।

এছাড়া আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট ও নাজিরশাইল। এসব চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০-৮৪ টাকায়। মেরুল বাড্ডার চাল ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এখন চালের সিজন (মৌসুম) শেষ। চাল আমদানি হলেও বাজারে সেগুলো আসছে না। এজন্য দাম বাড়তি। তিনি আরও বলেন, মিলপর্যায়ে বস্তাপ্রতি চালের দাম ১০০-১৫০ টাকার মতো বেড়েছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও মিলছে না চাহিদামতো চাল। মোকামে যে পরিমাণ চালের অর্ডার দেওয়া হচ্ছে তা পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে বাজারে আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডজনপ্রতি ডিম ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে অস্থিতিশীল ছিল ডিমের বাজার। সে সময় ডিমের ডজন ১৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর আগে কখনো ডিমের দামের এতটা বৃদ্ধি দেখা যায়নি, দামও এতটা ওঠেনি। এখন আবার সেই পথে হাঁটছে পণ্যটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খুচরায় প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ডজন নিলে ১৪৫-১৫০ টাকা। যদিও কিছু কিছু বাজারে ডজনে ৫-১০ টাকা কম নিতে দেখা গেছে। তবে সে সংখ্যা খুব কম। রামপুরা বাজারে ডিম বিক্রেতা ইয়াছিন হোসেন বলেন, বুধবার থেকে ডিমের দাম হুট করে বেড়েছে। তার আগেও দুদিন বেড়েছে দাম। তবে সেটা ৫-৭ টাকা। শেষ বৃহস্পতিবার সকালে পাইকারিতে ডিমের ডজন ১৪০ টাকায় ঠেকেছে।

তিনি বলেন, পাইকারিতে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা। যা অন্যান্য খরচ মিলে এখন সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ডিমের সরবরাহ কম। সেজন্য দাম বেড়েছে।

এদিকে মুদি পণ্যের দাম নতুন করে বাড়েনি। আগের চড়া দামেই আটকে আছে। শুধু খুচরায় পাম তেলের দাম ৫ টাকা কমে ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে বোতলজাত অন্য কোনো ভোজ্যতেলের দাম কমেনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom