নরসিংদীতে ৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধের পর বিএনপির ৩ শতাধিক নেতাকর্মী মুক্ত
নরসিংদীতে বিএনপির জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবিরসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে ৫ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ
প্রথম নিউজ, নরসিংদী : আটকতে বিএনপির জেলা কার্যালয় ঘেরাও করে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবিরসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে ৫ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। কার্যালয় থেকে বের হতে চাইলে ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। পরে পুলিশ অবরোধ তুলে নিলে রাত ১০টার দিকে মুক্ত হন তারা। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সদরের চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের ভেতরে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। কার্যালয়টির দুই পাশের সড়কে খণ্ড খণ্ড দলে ভাগ হয়ে অবস্থান গ্রহণ করে শতাধিক পুলিশ। সর্বশেষ খবর রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘেরাও তুলে নিয়েছে। অবরোধমুক্ত হয়ে খায়রুল কবির খোকন ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন।
নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। বেলা তিনটার দিকে চিনিশপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের ভেতরে প্যান্ডেল করে কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়। পাঁচ শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী এই বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। ফোনে খায়রুল কবির খোকন জানান, বিকেল ৫টার দিকে সেখানে পুলিশ এসে প্রায় ১৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় গ্রেফতারের ভয়ে কার্যালয়ের গেট ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে দেয় নেতাকর্মীরা। তার পর থেকেই বাইরে থেকে পুলিশ কার্যালয়টি ঘিরে রেখেছে। কেউ বের হতে গেলেই তাকে আটক করা হচ্ছে।
অবরুদ্ধ হয়ে থাকা নেতারা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সহসভাপতি দীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক আকবর হোসেন, শহর বিএনপির সভাপতি এ কে এম গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দীন ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোকাররম ভূঁইয়া, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
খায়রুল কবির বলেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করুক, এটাই তারা চায়। বিদেশে না পাঠিয়ে তাকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার দায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে।’ এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহেদ আহমেদ ও নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সওগাতুল আলম।
তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন নরসিংদী পুলিশের কর্মকর্তা সাহেব আলী পাঠান।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: