পটিয়ায় মবকেই জিতিয়ে দিল ইউনূস সরকার : শওগাত আলী সাগর

পটিয়ায় মবকেই জিতিয়ে দিল ইউনূস সরকার : শওগাত আলী সাগর

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সংঘর্ষের পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোহাম্মদ নূরকে প্রত্যাহার করেছে সরকার। এ ঘটনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ‘মবকে জিতিয়ে দিয়েছে’ বলে এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কানাডা থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’-এর সম্পাদক শওগাত আলী সাগর।

সম্পাদক সাগর বলেন, পুলিশের একজন ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা সাধারণত নজর কাড়ে না। তবে আবু জায়েদ মোহাম্মদ নূরের প্রত্যাহার ব্যতিক্রম হিসেবে আলোচিত হচ্ছে—কারণ এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ও রাজনৈতিক ইঙ্গিত।

ঘটনার শুরু ছাত্রলীগের স্থানীয় এক নেতা দীপঙ্কর দেকে রাস্তা থেকে ধরে থানায় নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। কিন্তু ওসি নূর সে দাবিতে সাড়া দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি ৫ আগস্টের পরের পুলিশ, আমাকে ধমক দিয়ে কোন লাভ হবে না।

সাগরের মতে, এই উত্তরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা, যাদের অনেকেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাদেরকে ‘কিংস পার্টি’ বলেও অভিহিত করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে।

এছাড়া তিনি আরও জানান, দীপঙ্করের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাস সক্রিয় ভূমিকা রাখে। একটি সূত্র তাকে জানিয়েছে, সেই দূতাবাসের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক সরাসরি সরকারের উচ্চপর্যায়ে কথা বলেন এবং দীপঙ্করকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।
পরে এই বার্তা ওসিকে জানানোয় তিনি দীপঙ্করকে গ্রেপ্তার করেননি। এতে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। 

পরে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উল্টো বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে ওসি নূরকে প্রত্যাহার করা হয়। 

‘নতুন দেশ’-এর সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, ‘পটিয়ার ঘটনায় প্রমাণ হয়, সরকার মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। গত ছয় মাসে দেশের ৪৫টি থানায় হামলা হয়েছে।
পুলিশকে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল করে রাখা হচ্ছে।’

তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এই নৈরাজ্য কি পরিকল্পিত? নির্বাচনকে অনিশ্চিত করার জন্যই কি এসব ঘটানো হচ্ছে?’