আসছে স্বাস্থ্যখাতে আরও ২০ হাজার নিয়োগ : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও টেকনোলজিস্টসহ দেশে শিগগিরই এই নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি বলেন, ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২০ হাজার নার্স একবারে নিয়োগ হয়েছে; এই ইতিহাস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আর নেই।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতে আরও ২০ হাজার নিয়োগ আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও টেকনোলজিস্টসহ দেশে শিগগিরই এই নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি বলেন, ১৫ হাজার চিকিৎসক, ২০ হাজার নার্স একবারে নিয়োগ হয়েছে; এই ইতিহাস স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আর নেই। স্বাস্থ্যে আরও নতুন নিয়োগ আসছে। চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় আছে, নতুন করে আরও আট হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন’ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ মহামারি এবং এফসিফিএস পাসকৃত নতুন ইন্টার্নদের অভিনন্দন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যে আমার সময়ে যে নিয়োগ হয়েছে, দেশের ইতিহাসে এত নিয়োগ হয়নি। সবচেয়ে বেশি নার্স, চিকিৎসক আমার সময়ে হয়েছে, সবচেয়ে বেশি পদোন্নতি আমার সময়ে হয়েছে। যদি প্রমাণ চান, তাহলে পরিসংখ্যান দেখুন। তিনি বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে আল্লাহর রহমত আর খারাপ হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দোষ। আল্লাহর রহমত তো সবকিছুতে অবশ্যই লাগে কিন্তু আমাদের চেষ্টাও তো আছে।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, শূন্য থেকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা শুরু করেছিলাম আমরা। একটি ল্যাব থেকে ৮০০টি ল্যাব হয়েছে। দিনে ২০ থেকে ৫০ হাজার টিকা দেয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। কোভিড অবস্থার মধ্যে একসঙ্গে ১৫ হাজার চিকিৎসক ও ২০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সারা দেশে ১৮ হাজার কোভিড বেড রয়েছে তার মধ্যে এক হাজার বেডেও চিকিৎসাধীন কেউ নেই। এর মানে হলো ৯৫ ভাগ খালি রয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের কাজ চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নে আটটি বিভাগে আটটি ক্যান্সার, কিডনি ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল নির্মাণ করছি যার কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমরা পুরো স্বাস্থ্যখাতকে ডিজিটালাইজড করবো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গেও চারবার আলাপ হয়েছে, যা প্রায় শেষদিকে। স্বাস্থ্যখাত ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে এখানে অনেক উন্নতিসাধন হবে। আমাদের আরও চারটি নতুন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এর মাধ্যমে আরও অনেকজনের প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম, বিএসএমএমইউ ভিসি অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: