এই সরকার আইসিইউতে আছে : বাবু গয়েশ্বর

বুধবার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে নবাবগঞ্জে ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এই সরকার আইসিইউতে আছে : বাবু গয়েশ্বর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা আদায়ের চলমান আন্দোলন শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, আমরা আন্দোলনে আছি, এই আন্দোলন আমাদের শেষ করে আনতে হবে। এ জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন দ্রুত নিশ্চিত করতে হবে। সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হয়, তত দেশের জন্য মঙ্গল। এই সরকার এক দিন ক্ষমতায় থাকলে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা এক বছরে পূরণ করা সম্ভব নয়। বুধবার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে নবাবগঞ্জে ইফতার মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আরও বক্তব্য দেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম আজাদ, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নাজিম উদ্দিন মাস্টার, তমিজ উদ্দিন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ অনেকে।

এই সরকারের অবস্থা ভালো নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকার আছে আইসিইউতে। খুব তাড়াতাড়ি কোমায় যাবে। তাই তারা জোরে জোরে ধমক দেয় এবং বলে আন্দোলনকে ভয় পাই না। তার মানে এই সরকার ভয়ে অস্থির। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে একটা ধাক্কা দিতে পারি তাহলে এই সরকার টিকবে না। তিনি আরও বলেন, আমার রাজনীতির বয়স প্রায় ৬২ বছর। এই জীবনে এই রকম সেরা সরকার আগে দেখিনি। এই সরকার সব খারাপের দিক দিয়ে সেরা। মিথ্যা কথা বলা, ভোট ডাকাতি, খুন ও দুর্নীতিতে সেরা। ভালো কাজ করার তৌফিক এই সরকারকে দেয় না।

আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে আর কোনো ভোট ডাকাত নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলে ভোটচোরদের মানুষ পছন্দ করে না। তাদের মুখে এ কথা শুনলে হাসি পায়। ৭৪-৭৫ সালে কম্বল চুরি, ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যস্ত ছিল। এখন ভোট ডাকাতি করে এই আওয়ামী লীগ। অত্যাবশ্যকীয় সেবা খাতে ধর্মঘট ডেকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলেও এতে সমর্থন দিলে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। এমন বিধান যুক্ত করে ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এ প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ব্যাংক খালি, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কী অবস্থা। জনগণের পকেটে টাকা নেই, ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারে না। এ অবস্থায় একটা আইন আনছে জরুরি সেবা খাতে ধর্মঘট করতে পারবে না। আমরা জানি, দেশে দুর্যোগ হবে, শ্রমিকরা ধর্মঘট করতে পারবে না। এই একটা আইন দিয়ে সবাইকে ধরবে। গার্মেন্টস সেক্টরে এখন ছাঁটাই চলছে। ঈদে বেতন বোনাস দিতে না পারলে কী হবে। সেজন্য এই এই আইন। এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে সব চেষ্টা করবে। তাই আমাদের হাতেও সময় নেই। তাড়াতাড়ি বিদায় দিতে হবে। এই সরকার ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।