উত্তরবঙ্গ থেকে স্বৈরাচারী সরকার পতন আন্দোলনের ঢেউ উঠবে: টুকু
আজ শনিবার বগুড়ায় দেশ বাঁচাতে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, বগুড়া: উত্তরবঙ্গ থেকে স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলনের ঢেউ উঠবে বলে জানিয়েছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের ক্ষমতায় থাকার নৈতিকতা নেই। সরকারের সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমরা তারুণ্যের সমাবেশ সফল করবই। ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করব। এজন্য সবাইকে ঐক্যভাবে রাজপথে থাকতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। আজ শনিবার বগুড়ায় দেশ বাঁচাতে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন,বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মভূমি বগুড়া। এটি আমাদের আবেগের জায়গা। আমাদের আদর্শের জনক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এই বগুড়া থেকে আমরা আন্দোলনের সূচনা করতে চাই। উত্তরবঙ্গ থেকে স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলনের ঢেউ উঠবে। দেশনায়ক তারেক রহমান শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে সরকারের কাপন ধরিয়ে দিয়েছেন। ১০ ডিসেম্বর আগে সারাদেশে বিভাগীয় জনসমাবেশ হয়েছে। এখন তারণ্যের সমাবেশের কথা শুনে সরকারের হাটু কাঁপা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সল হবে রাজপথে। আমরা তারেক রহমানের নির্দেশের কারণে সমাবেশ আয়োজন করেছি। বিএনপি আন্দোলন করছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতা এবং জনগণের ভোটাধিকার অধিকার রক্ষার আন্দোলন। তারেক রহমান বলেছেন আমরা ক্ষমতার জন্য আন্দোলন করছি না আমরা আন্দোলন করছি মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই আমি সকল তরুণ ভোটারদের আহ্বান জানাই আপনারা তারুণ্য সমাবেশে এসে সমাবেশ সফল করে প্রমাণ করুন আমরা ভোটের অধিকার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
মতো বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রণকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।