২৯ দিনে ৫ কোটি টাকার মাংস-দুধ-ডিম বিক্রি

২৯ দিনে ৫ কোটি টাকার মাংস-দুধ-ডিম বিক্রি

প্রথম নিউজ, ঢাকা : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাসে রাজধানীতে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয় প্রথম রমজানের আগের দিন, ২৩ মার্চ। এ কার্যক্রম চলে ২৮ রমজান পর্যন্ত। এই ২৯ দিনে ৫ কোটি টাকার দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি হয়েছে।

করোনাকালে প্রাণিজ আমিষ বিক্রয় ব্যবস্থা সমুন্নত রাখা ও ভোক্তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ২০২১ সালে দেশের প্রায় সব জেলায় ও গুরুত্বপূর্ণ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম, মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করে। দ্বিতীয়বার ২০২২ সালে প্রথম রমজান থেকেই ভ্রাম্যমাণ বিপণন ব্যবস্থা চালু করা হয় রাজধানীর ১৫টি স্পটে। তৃতীয়বারের মতো চলতি বছর ২৩ মার্চ পবিত্র রমজানে সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিপণন কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একটানা ২৯ দিন এই কার্যক্রম চালু থাকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ২০টি স্পটে। নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের ক্রেতারা প্রতিদিন সারিবদ্ধ হয়ে ভ্রাম্যমাণ এসব কুলিং শপ থেকে পাস্তুরিত তরল দুধ, ডিম, ড্রেসড ব্রয়লার, খাসির মাংস ও গরুর মাংস সুলভমূল্যে ক্রয় করেছেন।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৯ দিনের এই সেবা কার্যক্রমে প্রায় ২ লাখ ত্রিশ হাজার ক্রেতা সেবা নিয়েছেন, যার প্রায় ৫১ শতাংশের বেশি নারী। গড়ে তাদের পরিবারে ৫ জন সদস্য থাকলে মোট প্রায় সাড়ে ১১ লাখ ভোক্তা এই রমজানে প্রাণিজ আমিষের স্বাদ পেয়েছেন এই বিপণন কার্যক্রমের মাধ্যমে। ভ্রাম্যমাণ এই বিপণন ব্যবস্থায় প্রায় ৭৭ টন পাস্তুরিত তরল দুধ, ৭ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি ডিম, প্রায় ১৭ টন ড্রেসড ব্রয়লার, প্রায় ২ টন খাসীর মাংস এবং ৪৭ টনেরও বেশি গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়েছে। যার সম্মিলিত বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।


জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির উদ্যোগটি আসলে মানুষের চাহিদার ভিত্তিতে নেওয়া। মানুষের ব্যাপক সাড়া আমরা পেয়েছি। আমরা গতবারের তুলনায় এবার বেশি পরিমাণে পণ্য এই বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করেছি। সাধারণ মানুষ এর সুফল পেয়েছে।