হিমায়িত খাবার খেলে শরীরে হবে যত পরিবর্তন
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ব্যস্ত জীবন মানুষের খাদ্যাভ্যাসকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। সময় স্বল্পতার কারণে মানুষ এখন ঘরে রান্না না করে বাইরে থেকে হিমায়িত খাবার কিনে খেতে পছন্দ করে। শপিং মল থেকে ছুটির দিনে মাছ-মাংস-সবজি কিনে ফ্রিজ বোঝাই করে রাখে। তারপর সপ্তাহ ধরে সেটাই খায়।
বর্তমান সময়ে হিমায়িত খাবার কিছু মানুষের পছন্দ এবং কেউ কেউ উপায় না থাকায় খেয়ে থাকে। কিন্তু হিমায়িত খাবার যে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে, তা আমাদের অনেকে জানে না। এর পাশাপাশি এসব খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি, যা শরীরকে ফাঁপা করে দিতে পারে।
গত কয়েক বছরে হিমায়িত খাবার খাওয়ার হার বিশ্বজুড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
তরুণ-তরুণীরা এই খাবারটি সবচেয়ে বেশি খায়। এই ধরনের খাবার খেলে খাবারে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। আসুন, জেনে নিই হিমায়িত খাবারের ফলে সৃষ্ট সব অপকারিতা সম্পর্কে
ডায়াবেটিস
হিমায়িত খাবারে স্টার্চ ব্যবহৃত হয়, এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার তাজা রাখতে ব্যবহার করা হয়।
স্টার্চ শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে চিনিতে রূপান্তরিত হয়, যার কারণে চিনির মাত্রা বেড়ে যায় এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি থাকে।
ওজন বৃদ্ধি
হিমায়িত খাবারে অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা ওজন বাড়ায়। হিমায়িত খাবারে প্রোটিনের চেয়ে অনেক বেশি ক্যালরি থাকে। এই ধরনের খাবার খাওয়ার পর দ্রুত ক্ষুধা লাগে এবং আমরা অতিরিক্ত খেয়ে থাকি। অধিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেটের কারণেও ওজন বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টির অভাব
দীর্ঘদিন ফ্রিজে থাকার কারণে খাবারে ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়। এসব খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে। যার কারণে শরীর এনার্জি পায় না। এভাবে খেলে শরীরে পুষ্টির অভাব হয়, যার কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।
হৃদরোগ
এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ভালো কোলেস্টেরল কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। খারাপ কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। হিমায়িত খাবার হার্টের জন্য অস্বাস্থ্যকর। এই জাতীয় খাবারে উচ্চ পরিমাণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তচাপজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আজকাল এই প্যাকেটজাত খাবারের ওপর নির্ভর করা সাধারণ হয়ে উঠেছে। তবে বাড়িতে রান্না করা খাবারের চেয়ে ভালো আর কিছুই হতে পারে না।তাজা খাবারে শরীরের সুস্থ থাকতে চান তাহলে হিমায়িত খাবার এড়িয়ে চলুন।
সূত্র : আজতক বাংলা