আমরা রাজপথ দখল করে বিজয় অর্জন করব: যুবদল সভাপতি
শনিবার (২৪ জুন) নগরীর কীর্তনখোলা নদীর পাড়ের বেলস পার্কে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাক স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের দাবিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, বরিশাল থেকে রাশেদুল হক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেছেন আমরা রাজপথ দখল করে বিজয় অর্জন করব। মিথ্যা কথা বলে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে আর বেশিদিন টিকে থাকা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শনিবার (২৪ জুন) নগরীর কীর্তনখোলা নদীর পাড়ের বেলস পার্কে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাক স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থানের দাবিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, যখন আমরা আমাদের অধিকারের কথা বলি, ভোটের কথা বলি তখনি আমাদের গুম করা হয়, খুন করা হয়, জেলে নির্যাতন করা হয়। অবৈধ সরকারের সকল জুলুমের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ।সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিনগুলোর মধ্যে সবচাইতে কলঙ্কযুক্ত একটি দিন। কারণ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীন ও মুক্ত চিন্তার একটি সমাজ বিনির্মাণের জন্য। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের সেই আশা-আকাঙ্খাকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এটাই তাদের একমাত্র রক্ষার উপায়, তা না হলে তাদের রক্ষা নেই। আসুন আমরা একযোগে এই আন্দোলন সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করি এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনি।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে টুকু বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। দুইবার গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাকে তারা ভয় পায়। শুধু ভয় নয়, মারাত্মকভাবে ভয় পায়।
দেশের বর্তমান অবস্থাকে ভয়াবহ আখ্যা দিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দেশে শাসকদলের দুর্নীতি, দুঃশাসন ও মানবাধিকার হরণের দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় আমরা লজ্জিত, দুঃখ পেয়েছি। নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কারণ এই সরকার শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, বিচারবর্হিভূত হত্যা করছে, রাষ্ট্রব্যবস্থাকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করছে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মরার জন্য প্রস্তুতদের কেউ মারতে পারে না। চলমান আন্দোলন, লড়াই-সংগ্রামের মাঝপথে ছেড়ে যাব না, বিজয় নিশান উড়াব ইনশাআল্লাহ। তাই আসুন দেশকে রক্ষা করার জন্য, মানুষকে রক্ষা করার জন্য, স্বাধীনতার যেই আকাঙ্ক্ষা তা পূরণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আরেকটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি।
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান, যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন নান্নু, হারুনুর রশীদ শিশির, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ।