সুইজারল্যান্ডের ধারাবাহিক সহযোগিতা কামনা স্পিকারের
প্রথম নিউজ, ঢাকা : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংলি।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্পিকারের সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়ন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা ও রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি হিমশিম খেলেও বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের পাশাপাশি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মাতৃস্বাস্থ্য সরক্ষা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া, প্রায় এক কোটি মেয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে বৃত্তি দেওয়া, নারীদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, ডেল্টাপ্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন ইত্যাদি সবক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে সরকার। তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের পাশাপাশি পোশাকশিল্পে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে সরকার। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনগণের জীবনমান সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে বর্তমান সরকার। এসময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।
সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রদূত রেটো রেংলি বলেন, অধিক জনসংখ্যার দেশ হয়েও বাংলাদেশের জিডিপি ও প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রশংসনীয়। কোভিড পরবর্তী সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতা উল্লেখযোগ্য। এসময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।