ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে: তারেক রহমান

রোববার বিকালে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ফুটবল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে: তারেক রহমান

প্রথম নিউজ, সাতক্ষীরা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। স্বৈরশাসকের বিদায় হলেও ষড়যন্ত্র এখনও থেমে যায়নি, চলমান আছে। পার্শ্ববর্তী দেশের ফাঁদে পা দিয়ে, আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক দল বিভ্রান্তিমূলক কথা বা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। সকল ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। রোববার বিকালে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া ফুটবল মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন সদ্য কারামুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব। 

তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি উৎপাদন, উন্নয়নের রাজনীতি। বিএনপি চায় দেশের প্রতিটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে। সম্ভাবনাগুলোকে বের করে আনতে চাই। আমি ৬ হাজার মাইল দূরে থাকেলও আমার মনটা পড়ে থাকে বাংলাদেশে। ‘সাতক্ষীরা চিংড়ি চাষের ঘের কেন্দ্রিক বেড়িবাঁধ নিয়ে যে আতঙ্ক, সেই আতঙ্ককে কাটাতে বাধটি শক্ত ও মজবুত করতে চাই। এভাবে দেশের প্রতিটি জেলার সম্ভবনা আছে, সেগুলো বের করে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার, জনগণের সরকারই জনগণকে নিয়ে ভাবে। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল বলেই কৃষকের জন্য খাল খনন করেছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বইয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। জনগণের সরকারই জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। সভাপতির বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এই মাঠে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাত বার ভাষণ দিয়েছিলেন। এবার তার উত্তরসূরি তারেক রহমান আজ এই মাঠে বক্তব্য দিয়েছেন। যিনি আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান।

‘আল্লাহর রহমতের ৭০ বছরে সাজা নিয়ে কারাগারে ছিলাম, আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই আমি মুক্ত।’এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাবিব। তিনি বলেন, আমার নেত্রী কোনদিন পালননি, পালিয়েছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, আমরা নেত্রী পালান না, তারেক রহমান আমার পরিবারের খোঁজ খবর নিতেন যখন আমি কারাগারে ছিলাম। এ জন্য তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। হাবিব বলেন, আমি মিথ্যা মামলায় সাজা নিয়ে ভয় পাইনি। আমার সঙ্গে একই মামলায় কারাগারে থাকা ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি তাদেরকে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করছি।