লেবার পার্টি সভাপতির অভিযোগ আরেকটি হেফাজতকাণ্ড ঘটিয়ে আন্দোলন দমাতে চায় সরকার

লেবার পার্টি সভাপতির অভিযোগ আরেকটি হেফাজতকাণ্ড ঘটিয়ে আন্দোলন দমাতে চায় সরকার

প্রথম নিউজ, ঢাকা : আওয়ামী লীগ দেশে উসকানি দিয়ে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকামীদের ওপর আরেকটি হেফাজতকাণ্ডের মতো বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বিরোধী আন্দোলন দমাতে চায়। তবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যদি সরকার সাড়া না দেয়, তাহলে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত গণ-সমাবেশে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।

ডা. ইরান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন’, আওয়ামী লীগ গায়ে পড়ে সংঘাত সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার বক্তব্যই প্রমাণ করে ৫ মে সরকার নির্বিচারে আলেম-ওলামাদের হত্যা করেছে। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য প্রমাণ করে অধিকারের পরিচালক আদিলুর রহমানের প্রকাশিত রিপোর্ট সত্য।

তিনি বলেন, বিএনপি ও সমমনা শক্তি শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। তাই বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, পদযাত্রা, অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে আসছে। সরকার জনগণের দাবি মেনে না নিলে শীঘ্রই ঘেরাও অবরোধ হরতালসহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতন খুবই নিকটে মন্তব্য করে ডা. ইরান বলেন, বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনঘণ্টা বেজে গেছে। এমপি-মন্ত্রীদের আবোল-তাবোল বক্তব্যই প্রমাণ করে ভোট চোর মাফিয়া সরকারের পতন খুবই নিকটে। তিনি দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক গণতন্ত্রকামী উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ক্ষমতা হারানোর সিগন্যাল পেয়েছেন। জনগণ আওয়ামী জুলুমতন্ত্র থেকে মুক্তি চায়।

ইরান আরও বলেন, দুর্নীতি লুটপাট ও অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে সরকার। দেশ আজ অকার্যকর ও ব্যর্থ। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারের আজ্ঞাবহ দলবাজ দিয়ে আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে কিছু ইট-পাথরের স্থাপনা ছাড়া সরকারের কোনো অর্জন নেই।

কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রাজু, মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জোহরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাউল ইসলাম, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনীন, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য নাসির উদ্দিন তালুকদার, পিরোজপুর জেলা সদস্য মাসুম ফরাজী, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন, প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।